নিজস্ব প্রতিবেদন : তিন বছরের তানিমুনি যখন
ভয়েস রেকর্ডিংয়ে বাবার গান শুনে কণ্ঠস্থ করে ফেলেছিল, তখন থেকেই শ্রেয়া, সৃষ্টি ওরফে তানি মুনির বাবা দেবাশীষ বাবু ও মা তৃপ্তি দেবী বুঝে যান যে এরা গানের জগতে অনেক দূর যাবে। বাবা-মার সেই আন্দাজ যে কতখানি সত্যি তা ছয় বছর বয়সে তানিমুনির প্রতিভার প্রকাশ দেখলেই বোঝা যায়। এই বয়সের মধ্যেই তারা আকাশ আট, থেকে শুরু করে দূরদর্শন, বিদেশের চ্যানেল থেকে শুরু করে, স্টুডিওতে গান রেকর্ডিং অবধি করে ফেলেছে।
গানের যে জগতে তারা প্রবেশ করেছে তার বৃত্তটা আজ সম্পন্ন হল। এতদিন তারা অন্যের গান নিজেরা গেয়েছে। আর এবার তারা নিজেরাই একটা গান গাইলো। আর এই গানই স্টুডিওতে রেকর্ডিং হলো। তানিমুনি যে গানটি গাইলো তা লিখেছেন দিব্যদ্যুতি বিশ্বাস। আর এই গানটিতে সুর দিয়েছেন প্রীতম দেব। গানটি রিলিজ হবে ৫ই অক্টোবর। গানটি প্রথম রিলিজ হবে প্রীতম দেব অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে।
এতদিন তারা অন্যের গান গেয়েছে, কিন্তু এখন তানিমুনি এমন একটি গান গাইছে যে গান তাদের নিজস্ব গান। ভবিষ্যতে এই গান লোকে তানি মুনির গান বলেই চিনবে। এই প্রসঙ্গে তানি মুনির বাবা দেবাশিসবাবুর বক্তব্য, “এটা খুবই ভালো একটা কাজ। নিজস্ব গান থাকা একটা আলাদাই ব্যাপার। ওরা বড় হলে ওরা জানতে পারবে যে ছয় বছর বয়সে ওরা নিজেরাই অরিজিনাল গান করেছে।”
এই প্রসঙ্গে তানিমুনির মা তৃপ্তি দেবী বলেন, “নিজের জিনিস, নিজস্ব জিনিস সবসময় অন্যরকম। এটা পুরো ওদেরই গান। লোকে এই গানটা তানি মুনির গান বলেই জানবে।”
এই নিয়ে এটা ওদের দ্বিতীয় গান রেকর্ডিং। সে ক্ষেত্রে প্রথম গান রেকর্ডিংয়ের তুলনায় ওরা অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ ছিল। এই প্রসঙ্গে তানি মুনির মা বলেন, “প্রথমদিন রেকর্ডিং করতে একটু অসুবিধা হয়েছিল। স্টুডিওতে মাইক্রোফোনগুলি দেখে প্রথমে একটু ভয় পেয়ে ছিল। কালকে যেটা করলো সেটা একদম হেসে-খেলে করেছে। পুরো ব্যাপারটাই ওরা বুঝে গিয়েছিল। দ্বিতীয় বার রেকর্ডিংয়ে ওদের মধ্যে একেবারেই ভয় ছিল না।”
পুরো রেকর্ডিংয়ের শট নিতে ৪৫ মিনিট সময় লেগেছে আর ডাবিং করতে লেগেছে আরও ৪৫ মিনিট। এত অল্প সময়ে দুজনে মিলে গানটা তুলেছে, যা দেখে বিস্মিত হয়ে গিয়েছেন সুরকার প্রীতম দেব। প্রীতম দেবের কথায়, “আমি অবাক হয়ে গেছি, বড়রাও এত তাড়াতাড়ি গান তুলতে পারে না।”
নিজস্ব গান গাওয়া প্রসঙ্গে ছোট্ট তানি বলেছে, “খুব ভালো লেগেছে আমাদের গান গেয়ে।”
হিন্দি না বাংলা কী ধরণের গান তাদের পছন্দ জিজ্ঞেস করা হলে ছোট্ট মুনি উত্তর দেয়, “সব গান করতেই ভালো লাগে আমাদের। এইরকম গান আরও করতে চাই আমরা।”
আজ ছুটি ছুটি।#tanimuni_songs #tanimuni_video #ViralVideo #ViralVideos pic.twitter.com/Oaj1Ruxt8y
— BanglaXp Official (@BanglaXpBengali) September 26, 2020
পুজোর আবহাওয়ায় পুজোর উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে এই গান। গানের নাম ‘আজ ছুটি ছুটি’। গানের প্রথম লাইন ‘হাসছে রোদ মেঘের কোলে।’ তানি মুনির কণ্ঠে এই গান শুনতেই অসাধারণ লাগছে। এত অল্প বয়সে এত সুন্দর গলা, এমন ঈশ্বর প্রদত্ত প্রতিভা দেখে নিশ্চিত ভাবেই বোঝা যায় যে অদূর ভবিষ্যতে এই গানই ওদের পরিচয় হয়ে উঠবে।