নিজস্ব প্রতিবেদন : টলিউডের একসময়ের হিট নায়ক অভিষেক চ্যাটার্জী আর নেয়। তবে তিনি না থাকলেও রয়ে গেছে তার স্মৃতি, রয়ে গেছে টলিউডকে উপহার দেওয়া একের পর এক হিট সিনেমা। আর এইসবকে আঁকড়ে ধরেই জীবন কাটাচ্ছেন তার স্ত্রী সংযুক্তা এবং মেয়ে ডল।
টলিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেতা গত ২৪ মার্চ অসুস্থ ছিলেন। তারপর শুটিং ফ্লোরে যান শুটিং করার জন্য। কিন্তু সেই শুটিং সম্পন্ন হয়নি এবং বাড়ি ফিরে এসে মধ্যরাতে অসুস্থ হয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হন ও প্রাণ হারান। তার এই প্রয়াণে শোকোস্তব্ধ হয়ে পড়েন তার অনুরাগীরা। কেউই জনপ্রিয় এই অভিনেতার এইভাবে চলে যাওয়াকে মেনে নিতে পারছেন না।
অন্যদিকে অভিষেক চ্যাটার্জী মেয়ে ডল বাবার মত একজন অভিনেতা হতে চায়। মেয়ের এই ইচ্ছাতে মায়ের কোনো আপত্তি নেই, তবে কাজের জন্য যেন শরীরকে কোনোভাবেই অবজ্ঞা না করে তার দিকেই খেয়াল থাকবে বলে জানিয়েছেন সংযুক্তা। মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কখনও যান নি অভিষেকও। তবে অভিষেক জীবিত অবস্থায় তার মেয়ের ইচ্ছাপূরণ নিয়ে যা চাইতেন তা প্রকাশ পেয়েছে পঞ্চভুজ সিনেমার ট্রেলার লঞ্চের দিন।
খরকুটো ধারাবাহিকে গুনগুন ওরফে তৃনা সাহার বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিষেক চ্যাটার্জী। এমনকি অফস্ক্রিন ও অনস্ক্রিনে তৃণা অভিষেককে ড্যাডি বলে ডাকতেন। যে কারণে অভিষেক চ্যাটার্জী অভিনীত শেষ সিনেমা পঞ্চভুজ ট্রেলার রিলিজে এসে তৃণার চোখে জল লক্ষ্য করা যায়।
সেখানেই তৃণাকে বলতে শোনা যায়, “ড্যাডি খুব খেতে ভালোবাসতো। ড্যাডি থাকা মানেই খাওয়া-দাওয়া, মজা। আর সব সময় বলতেন ডল যেন বড় হয়ে আমার মত হয়।” হ্যাঁ, নিজের মেয়ে ডল বড় হয়ে যেন তৃণার মতই হয় এমনটাই চেয়েছিলেন অভিষেক বলে দাবি করেছেন তৃণা সাহা।