AC Minibus from Sector V to Serampore for only Rs 30: পরিবহন ব্যবস্থা এখন বেশিরভাগ টাই অ্যাপ নির্ভর। এখন আর রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ি খোঁজার দিন নেই। আগে থেকে অ্যাপে গাড়ি বুক করে নেওয়া যায়। নির্দিষ্ট সময়, নির্দিষ্ট জায়গায় পাওয়া যাবে নির্দিষ্ট গাড়িটিকে। গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে সময় নষ্ট হয় না কোন যাত্রীর। শুধু বাইক বা ফোর হুইলার নয়, এখন অ্যাপের মাধ্যমে বুক করা যায় বাসের টিকিটও। হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া যাবে বাসের টিকিট। সম্প্রতি একটি সংস্থা বেশকিছু এসি মিনিবাস (AC Minibus) চালু করেছে। এই বাসগুলি সম্পূর্ণ অ্যাপ নির্ভর। এই বাসের ঊ ভাড়া একেবারেই সাধারণের সাধ্যের মধ্যেই।
কলকাতা সেক্টর ফাইভ থেকে হুগলি শ্রীরামপুর পর্যন্ত চলছে এসি মিনিবাস (AC Minibus)। ১ টি সংস্থা সম্প্রতি এই মিনিবাসগুলি চালু করেছে। এই বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ৩০ টাকা। এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হলেও, অন্যান্য বাস কোম্পানিগুলি সমস্যায় পড়েছেন। সেক্টর ফাইভ থেকে শ্রীরামপুর পর্যন্ত সাধারণ সরকারি বাসের ভাড়া ৪০ টাকা। সেখানে এই সংস্থা বাস ভাড়া নিচ্ছে মাত্র ৩০ টাকা। অর্থাৎ সরকারি বাস ভাড়ার চেয়েও ১০ টাকা কমে যাতায়াত করা যায় এই এসি বাসে। এখানেই যত সমস্যা। বেসরকারি বাস মালিকরা নতুন এই সংস্থাটির বিরুদ্ধে গণপরিবহন ব্যবস্থা ধ্বংস করার অভিযোগ জানিয়েছেন পরিবহন দপ্তরের কাছে।
সেক্টর ফাইভ থেকে শ্রীরামপুর রুটের বেসরকারি বাস সংস্থাগুলি পড়েছেন বিপাকে। তাদের অভিযোগ এই নতুন এসি মিনিবাসগুলি (AC Minibus) তাদের ব্যবসা বন্ধ করার জন্য চালু করা হয়েছে। সরকারি বাসের তুলনায় বেসরকারি বাসের ভাড়া সামান্য হলেও বেশি হয়। এই নিয়ম যে কোন রুটের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সেখানে নতুন এসি মিনিবাসগুলি (AC Minibus) সরকারি বাসের চেয়েও কম ভাড়ায় যাতায়াত করছে। যেখানে একটি নন এসি বাসে যাতায়াত করতে খরচ হয় নুন্যতম ৪০ টাকা। সেখানে এসি বাসের পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩০ টাকায়। খুব স্বাভাবিকভাবে মানুষের মধ্যে এসি বাসের চাহিদা বাড়ছে। এবং মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই যাত্রী সংখ্যা ৩ ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। সরকারি, বেসরকারি এবং এসি বাসের মধ্যে যাত্রীদের কাছে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই নতুন এসি মিনিবাসগুলি।
আরও পড়ুন ? Low Pressure Bay of Bengal: বঙ্গোপসাগরে দানা বাঁধছে নিম্নচাপ, এই দিন থেকে ঝেঁপে বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে
ওই রুটের বেসরকারি বাস সংগঠকের সম্পাদক বলেন, যদি একই ভাড়ায় বাস চালানো হতো তাহলে কোন আপত্তি করার জায়গা ছিল না কারোরই। কিন্তু নতুন এই সংস্থাটি রীতিমত অন্যান্য বাস সংস্থার ব্যবসা বন্ধ করার উদ্দেশ্যেই কাজ করছে। যাত্রী সংখ্যা বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে এতটাই কমে গেছে যে বাস চালানোটাই সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামান্য ডিজেলের খরচটুকুও তোলা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় এই রুটের বাস মালিক বা কন্ডাক্টর সবারই সংসার চালানো নিয়ে চিন্তায় পড়ে যেতে হচ্ছে। এছাড়াও এই বাসটির একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে প্যাসেঞ্জার তুলে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে নামানোর কথা ছিল। কিন্তু অ্যাপের মাধ্যমে ওই সংস্থা প্রত্যেকটি বাস স্টপ থেকে পেসেঞ্জার তুলছে এবং সব জায়গাতেই যাত্রী নামাচ্ছে। অভিযোগ করা হয়েছে এই সবকিছু নিয়েই। নতুন এই সংস্থাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে এই রুটের বেসরকারি বাস মালিকরা।
অভিযুক্ত অ্যাপ সংস্থার সাথে যোগাযোগ করা না গেলেও, সংস্থাটিকে যারা বাস ভাড়া দিয়েছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, প্রচারের উদ্দেশ্যে মাত্র কিছুদিনের জন্যই এই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে বাসের ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু কতদিন এই ভাড়া প্রযোজ্য হবে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না কেউই। তারা আরো বলেন, সংস্থাটির অ্যাপের বুকিং এর মাধ্যমে তারা শুধু নির্দিষ্ট জায়গা থেকে যাত্রী তোলেন এবং নির্দিষ্ট জায়গায় নামিয়ে দেন। একটি সংস্থার জন্য বাস ভাড়া খাটাচ্ছেন তারা। এর বেশি তারা আর কিছু জানে না। ওই রুটের অন্য বাসের সাথে কোন বিরোধ তারা করেননি। যা করছেন নিয়ম মেনেই করছেন। বেসরকারি বাস মালিকদের দাবি, অন্যান্য রুটে ১৪০ টাকা ভাড়া নেয় এই সংস্থাটির অন্য মিনিবাসগুলি (AC Minibus)। কিন্তু এইরূটে মাত্র ৩০ টাকায় যাতায়াত খরচা সামলানো সম্ভব নয়। রীতিমতো পরিবহন ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মুখে ফেলে দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। পরিবহন দপ্তরের কাছে অভিযোগ জানানো হলে, তারা বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছে।