According to the new rules of the post office, if this thing is not done, the deposit and withdrawal of money will be stopped: নিশ্চিত রিটার্ন পাবার আশার সাধারণ মানুষ ব্যাংক বা পোস্ট অফিসকেই সব থেকে বেশি ভরসা করেন। কিন্তু এখন থেকে পোস্ট অফিসে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন (Post office new rules) আনা হয়েছে। এখন থেকে পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ করতে গেলে আগে পার্মানেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরটি যাচাই করা হবে। আয়কর বিভাগের সাহায্যে প্যান কার্ডের বৈধতা যাচাই করবে পোস্ট অফিস। পোস্ট অফিসের তরফ থেকে প্যান কার্ড ও আধার কার্ড সঠিকভাবে লিংক করানো আছে কিনা তা যাচাই করা হবে। এছাড়া বিনিয়োগকারির দেওয়া নাম, বয়স, ঠিকানা যাবতীয় তথ্য প্যান কার্ড ও আধার কার্ডের সাথে মিলছে কিনা তাও দেখা হবে।
এপ্রিল ২০২৩ থেকে পোস্ট অফিসে যে কোন স্কিমের বিনিয়োগ করার সময় প্যান কার্ড ও আধার কার্ডের নম্বর জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল (Post office new rules)। এখন সেই তথ্য সঠিক কিনা তাও যাচাই করে দেখবে পোস্ট অফিস। তথ্যের মিল আছে কিনা তা যাচাই করার পরই বিনিয়োগ করার অনুমতি পাবেন কোন ব্যক্তি। নথিপত্রের সাথে বিনিয়োগকারীর দেওয়া তথ্যে কোনরকম অমিল পাওয়া গেলে, পোস্ট অফিসের কোনো স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবেন না সেই বিনিয়োগকারী।
প্যান কার্ডের বৈধতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সিবিএস সিস্টেমটি প্রোটিন ই গভর্নমেন্ট টেকনোলজি সিস্টেমের সাথে যুক্ত। প্রোটিন সিস্টেম থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে ফিনা কলে বৈধতা নির্ধারণ করা হয় প্যান কার্ডগুলির। এই পদ্ধতিটি চালু ছিল ৩০ শে এপ্রিল ২০২৪ অব্দি। ১ লা মে ২০২৪ থেকে প্যানের বৈধতা সংক্রান্ত প্রোটিন সিস্টেমটি তে বেশ কিছু সংশোধন (Post office new rules) করা হয়েছে। পিপিএফ বা এনএসসির মত ছোট সঞ্চয় প্রকল্প গুলিতে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রেও বিনিয়োগকারীর প্যান কার্ড ও আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ৭ই মে- ২০২৪ এ ১ টি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্যপ্রকাশ্যে এনেছে পোস্ট অফিস।
সরকারি সঞ্চয় প্রকল্প গুলির সাধারণ বিধিমালা অনুযায়ী, বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রোটিন সিস্টেমের পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন নিয়ম (Post office new rules) অনুযায়ী, বিশেষ কিছু ঘটনা ঘটার আগে বিনিয়োগকারীর প্যান কার্ডের বৈধতা যাচাই করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে পোস্ট অফিসকে। হঠাৎ করে কোন একাউন্টে ব্যালেন্স যদি পঞ্চাশ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায় বা আর কোন আর্থিক বছরের অ্যাকাউন্টের সমস্ত ক্রেডিট স্কোর যদি ১ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যায় তাহলে সেই বিনিয়োগকারীর প্যান কার্ড সম্পর্কিত সঠিক তথ্য পোস্ট অফিসে জমা করা বাধ্যতামূলক।
১ মাসের মধ্যে কোন অ্যাকাউন্ট থেকে তোলা অথবা ট্রান্সফার করা টাকার পরিমাণ যদি ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়, তাহলে প্যানের বৈধতা যাচাই করা বাধ্যতামূলক (Post office new rules)। কিন্তু যদি এই সমস্ত কোন নির্দিষ্ট বিনিয়োগকারির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না হয়, তবে অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে তার কাছ থেকে প্যান কার্ড বাধ্যতামূলকভাবে না চাওয়াই উচিত। ফ্রম-৬০ হাতে পাবার পর অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন যেকোনো বিনিয়োগকারী। এই ফর্ম-৬০ তৈরি করার জন্য প্যান কার্ডের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েই তৈরি করা উচিত। প্রতিবেদনে উল্লেখিত কোন ঘটনা ঘটে থাকলে, যেদিন ঘটনাটি ঘটবে তার ২ মাসের মধ্যে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র পোস্ট অফিসে জমা করতে হবে।