দেশের ৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক দ্রুত বেসরকারিকরণের পথে হাঁটতে চলেছে

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্রে দ্বিতীয়বার সরকারে আসার পর মোদি সরকার একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বেসরকারিকরণের পথে নিয়ে চলেছে। আর এই বেসরকারীকরণের পিছনে হাঁটার কারণ হিসাবে পরিষেবার গুণগত মানকে তুলে ধরা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রেলের ১৫১ টি নতুন ট্রেনকে বেসরকারি সংস্থার হাতে চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এনিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভও দেখা দিয়েছে। আর এর পাশাপাশি এবার কেন্দ্র সরকার ৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে দ্রুত বেসরকারিকরণের পথে হাঁটাতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে সর্বভারতীয় বেশকিছু সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী।

Advertisements

রাজকোষের ঘাটতি মেটাতে নীতি আয়োগের তরফ থেকে সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে এবার সেই কাজ নাকি দ্রুততার সাথে করার জন্য নির্দেশ এসেছে প্রধানমন্ত্রী দপ্তর থেকে। গত মঙ্গলবার সংবাদসংস্থা রয়টার্স এমন খবর প্রকাশ করে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, দেশে যে মোট ১২ টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক রয়েছে তার সংখ্যাকে ৪ থেকে ৫ এ নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। আর এই সিদ্ধান্তের প্রথম পর্যায়ে যে সকল ব্যাঙ্কগুলি রয়েছে সেগুলি হল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক, ইউকো ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র এবং পঞ্জাব এন্ড সিন্ধ ব্যাঙ্ক। ওই সংবাদ সংস্থার দাবি চলতি আর্থিক বর্ষেই এই কাজ সেরে ফেলতে চাইছে কেন্দ্র সরকার।

Advertisements

এর আগে দেশের ২৭টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে নামিয়ে আনা হয়েছিল ১২ টিতে। আর এখন এই সংখ্যাটা কমিয়ে ৪ থেকে ৫ এ নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। যার প্রথম ধাপ হিসাবেই অর্ধেকের বেশি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেশিরভাগ শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া হবে। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতির হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য রয়েছে। আর এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণ এবং বেসরকারিকরণ অনেকটাই গতি আনবে বলে মনে করছে কেন্দ্র সরকার।

Advertisements

কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এই পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত হিসেবে দাবি করা হয়েছে, এর ফলে নতুন বড় ব্যাঙ্কগুলির পরিষেবার পরিধি অনেকটাই বেড়ে যাবে। পাশাপাশি এই সকল বড় ব্যাঙ্কগুলির প্রযুক্তি এবং ঋণ দেওয়ার ক্ষমতাও অনেকটা বাড়বে। আর এই সকল পরিকল্পনা অর্থনীতির গতিকে ত্বরান্বিত করবে।

Advertisements