কিছুদিন আগেই বাজে কদমতলা ঘাটে শুরু হয়েছে গঙ্গা আরতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে শুরু হয়েছে এই গঙ্গা আরতি (Ganga Aarti) । মুখ্যমন্ত্রীই গঙ্গার ঘাটে আরতি করার পরিকল্পনা সকলের সামনে এনেছিলেন। দিন কয়েক হল সেই আরতি শুরুও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সেই উদ্যোগ কতটা সফল হবে তা নিয়ে অস্বস্তি বাড়ছে পুরসভার অন্দরে। তাই সফলতা আনার জন্যই লঞ্চে বসে গঙ্গা-আরতি (Ganga Aarti) দেখার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার (WB Govt)।
মূলত স্থানীয় সূত্রে খবর, গঙ্গা আরতি দেখার লোকজন সেভাবে আসছেন না। নিয়মিত সন্ধ্যায় আরতি দেখার জন্য বেনারসের (Varanasi) ঘাটের মতো লোক উপচে পড়ে। কিন্তু কলকাতার ঘাটে তেমন ব্যাপার একেবারেই ঘটছে না। সেক্ষেত্রে এই রোজকার গঙ্গা আরতির ধারাবাহিকতা কতটা বজায় থাকবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
এ জন্যেই এবার নতুন লঞ্চ পরিষেবা চালু করতে চলেছে রাজ্য পর্যটন দপ্তর। নবান্ন সূত্রের খবর, সম্প্রতি কলকাতার গঙ্গার ঘাটে যে গঙ্গা-আরতি চালু হয়েছে, তা আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরই পরামর্শে গঙ্গা-আরতির সময়ে নদীবক্ষে একটি লঞ্চ রাখা থাকবে। সেখান থেকে দেখা যাবে আরতি।
পর্যটন দপ্তরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, লঞ্চ থেকে আরতি দেখার জন্যে খুব সামান্য ভাড়া দিতে হবে সাধারণ মানুষকে। আরতি শুরু হওয়ার আগে নির্ধারিত সময়ে ফেরিঘাট থেকে দর্শনার্থীদের লঞ্চে তোলা হবে। আরতি শেষে ফেরিঘাটে পৌঁছে দেওয়া হবে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে অদূর ভবিষ্যতে অনলাইনে টিকিটের ব্যবস্থাও করা হবে। পাশাপাশি টিফিনের ব্যবস্থাও থাকবে। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। সবটাই রয়েছে পরিকল্পনার স্তরে।
মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছা মেনে বেনারসের মতো কলকাতার বাজে কদমতলা ঘাটে গঙ্গা-আরতি চালু হয়েছে। যার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা পুরসভা (Kolkata municipal corporation)। মেয়র-পারিষদ তারক সিং জানান, আরতি দেখতে প্রতিদিন শয়ে-শয়ে মানুষ ভিড় করছেন। বাইরের পর্যটকরাও আসছেন। এবিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কথাও বলেছেন পর্যটনসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। লঞ্চ পরিষেবা চালু হলে এর আকর্ষণ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।