নিজস্ব প্রতিবেদন : গত বছর অক্টোবর মাসের ২ তারিখ মুম্বইয়ের বিলাসবহুল কর্ডেলিয়া ক্রুজে এনসিবি হানায় আটক হন বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান। এই হানার নেপথ্যে ছিলেন এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে। আটক করার পর দিন আরিয়ানকে গ্রেফতার করা হয় এবং একাধিকবার তার জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। শেষমেষ জেলে থেকে আরিয়ান মুক্তি পান ২৬ দিন পর।
আরিয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল মাদক মামলায়। তবে এতদিন পর এনসিবি আরিয়ানকে ক্লিনচিট দিল। এই মাদক মামলায় শাহরুখের জ্যেষ্ঠপুত্র আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আরিয়ান ছাড়াও এই মামলায় আরও পাঁচজনকে ক্লিনচিট দিয়েছে এনসিবি। শোনা যাচ্ছে এরপরেই জঘন্য তদন্ত করার অভিযোগ উঠেছে এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে। আর এতেই বিপাকে পড়েছেন এই এনসিবি কর্তা।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, ঠিকমতো তদন্ত করা হয়নি। এর পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে আরও একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। সেই সকল অভিযোগের মধ্যে রয়েছে জাল কাস্ট সার্টিফিকেট দাখিল করা ইত্যাদি। এই সবের পরিপ্রেক্ষিতেই এখন এই এনসিবি কর্তার কপালে তেঁতুল জল অপেক্ষা করছে। শোনা যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে।
আরিয়ান খানকে গ্রেফতারের পর থেকেই এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে দেখা যায়। তার বিরুদ্ধে তোলাবাজি, টাকা দিয়ে সাক্ষীকে না, অবৈধভাবে চাকরি দেওয়া ইত্যাদি নানান অভিযোগ ওঠে। তবে এই সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই এনসিবি কর্তা। তার দাবি, তাকে ফাঁসানোর জন্য এমন নানান অভিযোগ আনা হয়।
তবে এই সকল দাবী তোলা হলেও আরিয়ান খান মামলায় তদন্তের জন্য এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে সরিয়ে তদন্তভার দেওয়া হয় সঞ্জয় কুমার সিংকে। তারপর তদন্ত চলতে থাকে এবং শেষমেষ প্রায় ৮ মাস পর শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানকে ক্লিনচিট দিল এনসিবি।