নিজস্ব প্রতিবেদন : স্টার জলসার টিভি সিরিয়াল ‘বউ কথা কও’-এর ‘মৌরী’ বা ‘সখী’, সিরিয়ালের ‘ঈষাণী’-র আসল নাম না জেনেই এই অভিনেত্রীকে ভালবেসে ফেলেছিলেন অগণিত দর্শক। পরবর্তীকালে একের পর এক সিরিয়াল ও সিনেমার দৌলতে এই পরিচিত মুখের নাম দর্শকদের জানা হয়। বর্তমানে ‘নকশি কাঁথা’ সিরিয়ালের মূল চরিত্র তিনি শবনম। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে অভিনেত্রী মানালি দে’র। দীর্ঘদিন ধরেই টলিপাড়ায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছিল মানালি আর পরিচালক অভিমুন্যর সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন। অবশ্য তারাও দুজনে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে কোনো দিন কোনোরকম ঢাকাচাপা রাখেন নি। মাঝে মধ্যেই নিজেদের একাধিক সুন্দর মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতেন মানালি।
আর সম্প্রতি করোনার আবহের মাঝেই দুজনে বিয়েটাও সেরে ফেললেন। যদিও এই বিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে হয়নি, হয়েছে আইনের দিক থেকে। রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করে মানালি নিজেই সেই ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখলেন, ‘রেজিস্টার্ড’ ছবির কমেন্ট বক্সে নবদম্পতির শুভেচ্ছা বার্তায় ভরে উঠলো।’
রেজিস্ট্রি পর্ব মিটতেই তারা দুজনে তাদের নব মুহূর্তের ছবি শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রিয় অভিনেত্রী আর পরিচালক এমন সুখবর শেয়ার করতেই শুভেচ্ছা বার্তা আসতে শুরু করে সব জায়গা থেকে। আহামরি কোনও সাজগোজ নয়, একদম ঘরোয়া সাজ-পোশাকেই বিয়ের অনুষ্ঠান সেরেছেন মানালি ও অভিমন্যু।
পেশায় পরিচালক অভিমন্যুর সাথে ইন্ডাস্ট্রি সূত্রেই মানালির আলাপ। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম, প্রেম থেকে বিয়ে। অভিমন্যুর পরিচালনাতেও কাজ করেছেন মানালি। গুগলি, টেকো, পিয়া রে-র মতো জনপ্রিয় ছবির পরিচালক অভিমন্যু। এছাড়াও একাধিক জনপ্রিয় রয়েছে তাঁর। যেমন লে ছক্কা, ইডিয়ট, কানামাছি, বরবাদের ছবির চিত্রনাট্য তাঁর লেখা। রাজ চক্রবর্তীর প্রযোজনা সংস্থায় নিমকি ফুলকি-তে কাজের সুবাদেই সম্পর্ক এবং কাছাকাছি আসা। বন্ধুত্ব থেকে তা প্রেমে গড়াতে বিশেষ সময় লাগেনি।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে গায়ক সপ্তক ভট্টাচার্যের সঙ্গে মানালির প্রথম বিয়ে হয়। কিন্তু সেই বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। মাত্র চার বছরের মধ্যেই ২০১৬ সালে আইনত বিচ্ছেদ হয় তাদের। এরপর বেশ কিছুদিন রেস্ট নিয়ে পুনরায় কাজের জগতে ফেরেন মানালি। আর তারপরই অভিমুন্য সাথে তার নতুন সম্পর্কের শুরু হয়। আর এই নতুন সম্পর্ক থেকেই পরিনতি।