Poush Mela in Shantiniketan : করোনার পর চলতি বছরে আবারো পুরনো ছন্দে ফিরতে চলেছে শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা। ইতিমধ্যেই পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা রয়েছে দীর্ঘদিনের অপেক্ষায়। দীর্ঘ চার বছরের পর আবারো শুরু হতে চলা এই পৌষ মেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত কঠোর হতে চলেছে। চলতি বছরের পৌষ মেলা হবে সিসিটিভির (CCTV) ঘেরাটোপে সাথে উড়বে ড্রোন (Drones)৷
পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক নজরদারি রাখবে কন্ট্রোল রুমে বসে। পাশাপাশি থাকবে অ্যান্টি ক্রাইম টিম (Anti Crime Team)৷ শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা (Poush Mela in Shantiniketan) বাঙালির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, দেশ দেশান্ত থেকে বহু মানুষ এইসময় ভিড় জমায় শান্তিনিকেতনে এসে। বৈদ্যুতিক নিরাপত্তার দিকেও বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে। শর্ট সার্কিটজনিত সমস্যা যাতে না হয়, সেজন্য বৈদ্যুতিক কাজকর্ম হবে আন্ডার গ্রাউন্ডে৷ এছাড়াও পুরসভার পক্ষ থেকে চার-পাঁচ জায়গায় রাখা হয়েছে জলের ব্যবস্থা অগ্নি নির্বাপণের জন্য। জেলাশাসক বিধান রায় ও পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী চূড়ান্ত বৈঠকের পর এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন। এবছরের পৌষ মেলা হবে ডাক বাংলো মাঠে। সোমবার জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা পরিষদের সভাধিপতির উপস্থিতিতে হল তারই চূড়ান্ত পর্যায়ের বৈঠক।
বেশ কয়েক বছর বাদে আবার শুরু হচ্ছে পৌষ মেলা (Poush Mela in Shantiniketan) তাই স্বাভাবিকভাবেই ভিড় থাকবে অনেকটাই বেশি। কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে এই ভিড়? ভিড় নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে মেলার মাঠের এবং সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা সমস্ত কিছুই বিশেষ নজরদারির ঘেরাটোপে থাকবে। কিভাবে বিষয়গুলো পরিচালনা করা হবে তার জন্য নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। বৈঠক শেষে জেলাশাসক বিধান রায় ও জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী গোটা বিষয়টি তুলে ধরেছেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে।
আরও পড়ুন:Toto Fare: পৌষ মেলায় সস্তা হয়ে গেল টোটো, এবার প্রশাসনের নির্দেশে এত টাকাতেই হবে যাতায়াত
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী মেলা করতে হবে বিশেষ নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই চলছে সমস্ত কাজ। স্বাভাবিকভাবে বেশি সংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটবে এমনটাই আশা করা হচ্ছে। মহামারীর জন্য বিগত কয়েক বছর ধরে মেলা (Poush Mela in Shantiniketan) সেভাবে জমজমাটভাবে করা হয়নি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর এবার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পর্যটকদের আশা পূরণ হতে চলেছে। সব দিকে নজর রেখেই মেলা হবে৷ দমকল, জল, স্যানিটাইজেশনের মতো সাবধানতা অবলম্বনকারী বিষয়গুলি মেলায় থাকবে৷
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, মেলায় থাকবে প্রায় ১৫০০ মতো স্টল। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মেলা হবে সম্পূর্ণ প্লাস্টিক বর্জিত। জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, এত বড় মেলায় যাতে কোনরকম চুরির ঘটনা না ঘটে তার জন্য রাখা হচ্ছে অ্যান্টি ক্রাইম টিম, তাও গতবারের তুলনায় দ্বিগুণ৷ ড্রোন দিয়ে চলবে নজরদারি আর সাথে থাকবে সিসিটিভির নজরদারিও। কন্ট্রোল রুমে এবার নজরদারির জন্য একজন আধিকারিক থাকবেন। বাড়তি নিরাপত্তার জন্য থাকছে ১২৫টির বেশি সিসিটিভি এবং চারটি ড্রোন। মেলাতে এসে যাতে সাধারণ মানুষের কোনরকম অসুবিধা না হয় তার জন্য রাখা হচ্ছে একটি ট্র্যাফিক ম্যাপ। বাস স্ট্যান্ড, রেল স্টেশন এবং বড় রাস্তার ধারে ফ্লেক্স টাঙিয়ে দেওয়া হবে।