চাঁদে অবতরণের আগে দুর্দান্ত কারনামা দেখিয়েছিল বিক্রম! সামনে এলো ৬৫ দিন পর

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : সেই ২৩ আগস্ট অর্থাৎ ৬৫ দিন আগে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছিল চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) এর ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram) এবং রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan)। অবতরণের পর একের পর এক কারনামা দেখিয়েছিল বিক্রম এবং প্রজ্ঞান। সেই সকল কারনামা সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই অনেক কিছু জেনেছি এবং তাদের এমন কারনামার ফলেই আজ ভারত বিশ্বের দরবারে নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখে ফেলেছে।

চাঁদের মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করার পর সেখান থেকে যে সকল তথ্য সংগ্রহ করেছে চন্দ্রযান ৩ মিশন, সেই সকল তথ্য নিয়ে এখন বিজ্ঞানীরা নানান ধরনের গবেষণা করছেন। এছাড়াও চাঁদ নিয়ে আগামী দিনে কি কি পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে তারও একটি ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করা হচ্ছে। তবে এসবের মধ্যেই এবার ৬৫ দিন পর চাঁদের মাটিতে অবতরণ করার আগে বিক্রম কি করেছিল তা সামনে এলো।

২৩ আগস্ট চাঁদের মাটিতে অবতরণ করার আগে বিক্রম চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ইজেক্টা হ্যালো তৈরি করেছিল। উড়েছিল চাঁদের মাটি, শিলা। সেসব নিয়েই এবার গবেষণা শুরু করে দিলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগারের (ISRO) বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের ভাষায় বলা এই ইজেক্টা হ্যালো আসলে কি? ইজেক্টা হ্যালো আরও একটি নাম রয়েছে আর সেটি হল ‘রিফ্লেকটেন্স অ্যানোমালি’।

আসলে চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমের সফট ল্যান্ডিংয়ের আগে উড়েছিল ধুলো, শিলার টুকরো, মাটি বা রেগোলিথ। ল্যান্ডার এই ধুলো, মাটি, শিলা উড়িয়ে নিজের চারপাশে তৈরি করেছিল একটি উজ্জ্বল এলাকা। যাকেই বিজ্ঞানীরা বলছেন ইজেক্টা হ্যালো বা রিফ্লেকটেন্স অ্যানোমালি। ইসরোর বিবৃতি থেকে জানা যাচ্ছে, চাঁদের মাটিতে অবতরণ করার আগে এমন কাজ করেছিল বিক্রম।

ইসরোর তরফ থেকে দেওয়া একটি বিবৃতিতে জানা যাচ্ছে, অবতরণের সময় ১০৮.৫ মিটার এলাকা জুড়ে ২.০৬ টন চাঁদের রেগোলিথ উড়িয়েছিল বিক্রম। এবার এই বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞানীরা যে গবেষণা শুরু করেছেন তা থেকে চাঁদের মাটি বা রেগোলিথ সম্পর্কে বিশেষ ধারণা জন্মাবে। পাশাপাশি জানা যাবে চাঁদে যে সকল ল্যান্ডার অবতরণ করেছে বা আগামীদিনে করবে তার ফলে চন্দ্রপৃষ্ঠে কতটা প্রভাব পড়বে।