নিজস্ব প্রতিবেদন : ৮৭ বছর পর একুশ শতকে এসে স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে গ্রামের বাসিন্দাদের। কারণ এই দীর্ঘ বছর ধরে ওই গ্রামে বন্ধ ছিল ট্রেন পরিষেবা। এরপর গত রবিবার গ্রামের স্টেশনে এসে পৌঁছায় একটি ট্রায়াল ট্রেন। হুইসেল বাজাতেই ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। দীর্ঘ এত বছর পর গ্রামের স্টেশনে কোন ট্রেন আসায় রীতিমতো স্বপ্নপূরণের আশাতে পূজা-অর্চনা শুরু করে দেন গ্রামের বাসিন্দারা।
আসলে এমন ঘটনা বিহারের নির্মালি গ্রামের। আসনপুর-কুফা থেকে সরাইগড়-নির্মালী রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষ হতেই রাধোপুর থেকে নির্মালির মধ্যে গতি পরীক্ষার জন্য প্রথম ইঞ্জিন পাঠানো হয়েছিল রবিবার। আর সেই পরীক্ষার ইঞ্জিন দেখতে এলাকার বাসিন্দারা ভিড় জমান।
ভারতের এখনো অনেক প্রান্তেই ট্রেন যোগাযোগ নেই। তবে হঠাৎ এই নির্মালি গ্রামের ঘটনা কেন উঠে আসছে? এর পিছনে রয়েছে ৮৭ বছর আগের এক ঘটনা। ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত এই গ্রামের সাথে ট্রেন যোগাযোগ ছিল। কিন্তু হঠাৎ ভূমিকম্পের কারণে সেই বছর রেললাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ক্ষতির কারণে সম্পূর্ণ রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর থেকে আর কোনদিন এই স্টেশনে কোন ট্রেন আসার সুযোগ পায়নি। ট্রেন না আসায় গ্রামের বুকে স্টেশন থাকলেও ট্রেনের হুইসেলের আওয়াজ গ্রামের কারোর কানে যায়নি।
এরপর ২০০৩ সালের ৬ জুন দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী নির্মালি কলেজ থেকে কোসি নদীর উপর মহাসেতুর শিলান্যাস করেছিলেন। আর সেই মহা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১৮ই সেপ্টম্বর। আর এরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসনপুর কপাহা স্টেশন থেকে রেল পরিষেবা চালু করেন।
प्रधानमंत्री @NarendraModi जी के प्रयासों से 87 साल बाद बिहार में निर्मली तक रेल लाइन का निर्माण कार्य पूरा हुआ, जिसपर ट्रेन का स्पीड ट्रायल कराया गया।
दशकों पुराना सपना साकार होने पर लोगों ने इंजन के सामने पूजा कर मोदी जी के समर्थन में नारे लगाये।https://t.co/ymPlDFq7mm
— Piyush Goyal (@PiyushGoyal) February 28, 2021
[aaroporuntag]
যার পরেই পুনরায় জুড়ে দেওয়া হয় সরাইগড়-নির্মালি রেলপথকে। ট্রেন চালানোর জন্য তৈরি করা হয় নির্মালি রেলস্টেশনকে। যদিও এখনও এই ট্রেন পরিষেবা চালু হয়নি, কেবল স্পিড ট্রায়াল চালানো হচ্ছে। তবে এই স্পিড ট্রায়াল দেখেই গ্রামের বাসিন্দারা উৎফুল্ল এবং আশায় বুক বাঁধছেন খুব দ্রুত পরিষেবা চালুর বিষয়ে।