লাল্টু : হাত সাফাই কত ধরনের হয়। সাইকেল, মোটর সাইকেল, সোনা দানা, মোবাইল ইত্যাদি হাতসাফাই অর্থাৎ চুরির কথা আমরা প্রত্যেকে শুনেছি। তবে এবার আস্ত রেললাইন (Rail track) চুরি! বিষয়টি অবাক করা হলেও সত্যি। এর আগে রেললাইন চুরি যাওয়ার ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছিল বিহারে, এবার সেই ঘটনায় ঘটলো বাংলায়। রেল লাইনের কাটা টুকরো চুরির ঘটনা ঘটেছে বীরভূমে (Birbhum)।
আস্ত রেললাইন চুরির এমন ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের কাঁকরতলা থানার অন্তর্গত অন্ডাল পলাস্থলি রুটে। এই রুটের রেললাইন থেকে একের পর এক ট্র্যাক চুরি হয়ে যায়। চুরি হয়ে যাওয়া রেল লাইনের পরিমাপ প্রায় এক কিলোমিটার হবে বলেই জানা যাচ্ছে। তবে পুলিশ এবং রেল পুলিশের সহযোগিতায় চুরি যাওয়া এই রেললাইনগুলি উদ্ধার হয় ঝোঁপ থেকে।
আস্ত রেললাইন চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রথম জানতে পারে কাকরতলা থানার পুলিশ। তারপর তারা যোগাযোগ করেন অন্ডাল শাখার আরপিএফ-এর সঙ্গে। এরপরই যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩০ টি রেল লাইনের টুকরো উদ্ধার করা হয়। রেল লাইনের এই সকল টুকরো চুরি করে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল কাঁকরতলা থানার কৈথি গ্রামের একটি ফাঁকা জায়গায় ঝোঁপে মধ্যে।
পুলিশ এবং আরপিএফ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় এবং জেসিবি মেশিন দিয়ে সেই সকল চুরি যাওয়া রেললাইন উদ্ধার করে। এই ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন ২২ বছর বয়সী শেখ আলতাব এবং ২৬ বছর বয়সি শেখ ইন্তাজ। রেললাইন চুরির ঘটনায় আর যে সকল ব্যক্তিরা জড়িত রয়েছেন তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে রুটে এমন রেললাইন চুরির ঘটনা ঘটেছে সেই রুটটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। প্রায় ২০-২২ বছর আগে ভীমগড় পলাশথলি রুটে ট্রেন চলাচল করলেও এখন আর এই রুটে ট্রেন চলে না। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়েই সরকারি সম্পত্তি চুরির ফন্দি এঁটেছিল দুষ্কৃতীরা বলেই জানা যাচ্ছে।