নিজস্ব প্রতিবেদন : মঙ্গলবার ২৩ জুলাই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করেন। বাজেট পেশ করার সময় তিনি যে যে ঘোষণা করেছেন সেই সকল ঘোষণা অনুযায়ী মোবাইল ফোনের দাম (Mobile Phone Price), চার্জারের দাম কমানোর ঘোষণা করা হয়েছে। মোবাইল ফোনের দাম, চার্জারের দাম কমানোর ঘোষণা হতেই সাধারণ মানুষদের মধ্যে চরম কৌতূহল।
মোবাইলের দাম, চার্জারের দাম কমানোর ঘোষণা হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে এত কৌতূহলের কারণ হলো মোবাইল ফোন, চার্জার ইত্যাদি এখন যেন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসে পরিণত হয়েছে। কেননা এসব ছাড়া এখন এক মুহূর্ত কারো চলে না বললেই বলা যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের ঘোষণার পর ১০ হাজার টাকার মোবাইল ফোনের দাম কত পড়বে বা কত টাকা বাঁচবে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
মঙ্গলবার কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ঘোষণার আগে পর্যন্ত মোবাইল ফোন, চার্জারের উপর ২০ শতাংশ শুল্ক নেওয়া হত। যে শুল্ক এখন কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ হিসেব অনুযায়ী একজন ক্রেতাকে আগের তুলনায় মোবাইল কেনার সময় ৫ শতাংশ শুল্ক কম দিতে হবে। ডিজিটের নিরিখে ৫ একটি নগণ্য ডিজিট হলেও এর বড় প্রভাব কিন্তু পড়বে মোবাইলের দামের উপর। কেননা এখনকার দিনে মোবাইল ফোন বলতে কেবলই স্মার্টফোন ব্যবহার করতে দেখা যায় সাধারণ মানুষদের। আর স্মার্টফোনের দাম খুব কম হলে ছ-সাত হাজার টাকার নিচে ভালো পাওয়া যায় না।
মোবাইল ফোনের দাম কত কম পড়বে অর্থাৎ কত টাকা বাঁচবে সেই হিসেবে সহজ ভাষায় বোঝানোর জন্য একটি ফোনের দাম ১০ হাজার টাকার হিসেব ধরে হিসেব নিকেশ করা যেতে পারে। যদি কোন মোবাইল ফোনের বেসিক দাম ১০ হাজার টাকা হয় তাহলে এর আগে পর্যন্ত ২০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে দাম দাঁড়াতো ১২০০০ টাকা। এখন যেহেতু ২০ শতাংশ শুল্কের বদলে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে তাই শুল্ক হিসাবে পড়বে ১৫০০ টাকা। অর্থাৎ ১২০০০ টাকার স্মার্টফোন পাওয়া যাবে ১১৫০০ টাকায়। এক্ষেত্রে সরাসরি গ্রাহকদের ৫০০ টাকা বাঁচবে।
মোবাইল ফোনের পাশাপাশি যদি চার্জারের দামের দিকে নজর রাখা যায় সে ক্ষেত্রেও কিন্তু অনেকটাই খরচ বাঁচবে গ্রাহকদের। যদি কোন চার্জারের দাম এখন ৪০০ টাকা হয়ে থাকে তাহলে তার জন্য আগে ২০ শতাংশ শুল্ক দিতে হতো। অর্থাৎ শুল্ক নিয়ে দাম পড়তো ৪৮০ টাকা। কিন্তু এবার শুল্ক ৫% কমে যাওয়ার কারণে শুল্ক নিয়ে দাম পড়বে ৪৬০ টাকা। হিসেব অনুযায়ী ৪০০ টাকার চার্জারের ক্ষেত্রেও ২০ টাকা সাশ্রয় হবে ক্রেতাদের।