নিজস্ব প্রতিবেদন : চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) নিয়ে ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীরা যতটাই গর্বিত, তারা যতটা ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছেন, তার থেকেও যেন বেশি গর্বিত দেশের মানুষ, বিজ্ঞানীদের থেকেও বেশি চিন্তাভাবনা তাদের। কেনইবা হবে না, কারণ এই মিশনই ভারতের নাম বিশ্বের দরবারে স্বর্ণাক্ষরে লিখে দিয়েছে। গত ২৩ আগস্ট যখন চাঁদের মাটিতে সফলভাবে ল্যান্ডিং করে ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram) এবং রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan), ঠিক সেই সময়ই এই ইতিহাস তৈরি হয়ে যায়। কেননা চাঁদের মাটিতে চতুর্থ দেশ হিসাবে ভারতের সফল চন্দ্রযান ল্যান্ডিং এবং প্রথম দেশ হিসাবে এমন কৃতিত্ব অর্জন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে।
সফলভাবে ল্যান্ডিংয়ের পর বিক্রম এবং প্রজ্ঞান দফায় দফায় তাদের কাজকর্ম চালিয়েছে। একের পর এক পরীক্ষা-নিরীক্ষার নথি তুলে দিয়েছে ইসরোর বিজ্ঞানীদের হাতে। এরই মধ্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে রাত নেমে এলে গত ২ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞান এবং ৪ সেপ্টেম্বর বিক্রম স্লিপ মোডে যায়। তবে প্রথম থেকে আশা করা হচ্ছিল, ফের যখন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্যের আলো পড়বে তখন তারা আবার জেগে উঠবে। কিন্তু পরিকল্পনা অনুযায়ী এখনো তা সম্ভব হয়নি। দেখতে দেখতে ৫ দিন কেটে গিয়েছে, এমন অবস্থায় তাদের পুনরায় জেগে ওঠার আশা দিন দিন হচ্ছে।
বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের পুনরায় জেগে ওঠার সম্ভবনা ক্ষীণ হলেও বিজ্ঞানীরা এখনো আশা ছাড়ছেন না। তারা আশা না ছাড়ার পাশাপাশি নতুন এক পরিকল্পনার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। আর সেই ভাবনা-চিন্তা সম্পর্কে জানলে সত্যিই আপনার গর্বে বুক ভরে যাবে। ইসরোর নতুন ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়েছে মূলত পরবর্তী অভিযান নিয়ে। আবারও চাঁদে অভিযান চালাবে ইসরো। আর এবার চাঁদের মাটি থেকে সংগ্রহ করা নমুনা পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
চন্দ্রযান-৩ মিশনে ল্যান্ডার বিক্রম প্রথমবার সফলভাবে অবতরণ করার পর ফের দ্বিতীয় বারের জন্যও সফট ল্যান্ডিং করতে সক্ষম হয়েছে। আর এই সফলতাকে কাজে লাগিয়েই এবার চাঁদের মাটি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফেরার বড় পরিকল্পনা গ্রহণ করছে ইসরো। আর এই পরিকল্পনা যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে ইসরোর বিজ্ঞানী তথা ভারতের কাছে অন্যতম বড় একটি সফলতা আসবে চাঁদ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষায়।
পরবর্তী এমন নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য কবে অভিযান চালানো হবে? এই বিষয়ে সর্বভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চাঁদের মাটিতে অবতরণ করার পর সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পুনরায় পৃথিবীতে কিভাবে ফিরে আসা যায় সেই নিয়ে ভাবনাচিন্তা এবং গবেষণা শুরু হয়েছে। এই ভাবনা চিন্তার মূল কারণ হলো বিক্রমের দ্বিতীয়বার সফট ল্যান্ডিং। তবে এই মিশন কবে শুরু হবে এই নিয়ে এখনই কোন টাইমলাইন ধরে এগোতে চাইছে না ইসরো।