নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঙ্গালীদের কাছে পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘা (Digha) একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। শুধু বাঙালিরা নন, বাঙ্গালীদের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বহু পর্যটকদের কাছেই দীঘার সমুদ্র আলাদা আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনপ্রিয় এই পর্যটন কেন্দ্রকে আরও জনপ্রিয় করে তোলার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে প্রতিনিয়ত সাজিয়ে তোলার কাজ চালানো হচ্ছে কলকাতার কাছেই থাকা এই সমুদ্র সৈকতকে।
একসময় দীঘায় ঘুরতে যাওয়া মানেই ছিল সমুদ্রে স্নান করে অথবা সমুদ্রের ধারে সময় কাটিয়ে ফিরে আসা। কিন্তু সেসব এখন অতীত হয়ে গিয়েছে। দীঘায় ঘুরতে গিয়ে সমুদ্রের স্নান করার পাশাপাশি নতুন নতুন পার্ক, কফি হাউস, সমুদ্রের মাঝে পৌঁছানোর জন্য প্রমোদতরী, মিউজিয়াম ইত্যাদি কত কিছুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও আকর্ষণ আরও বৃদ্ধি করতে তৈরি করা হচ্ছে পুরীর জগন্নাথ দেব মন্দিরের আদলে নতুন মন্দির। তবে এবার এসবকে ছাড়িয়েও এবার প্রশাসনের তরফ থেকে যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা জানলে পর্যটকরা আনন্দে লাফাবেন।
দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে এবার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে দিঘায় একটি মিনি জু অর্থাৎ ছোট চিড়িয়াখানা তৈরি করার। পরিকল্পনা অনুযায়ী ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তৎপরতা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে যদি এক্ষেত্রে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয় তাহলে পর্যটকদের কাছে দীঘা অনেক বেশি আকর্ষণের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কেননা এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পারবেন পর্যটকরা।
দীঘায় মিনি জু তৈরি করার জন্য ইতিমধ্যেই সেন্ট্রাল জু অথরিটি থেকে শুরু করে অন্যান্য যে সকল বিভাগের অনুমতির প্রয়োজন সেই সমস্ত বিভাগের কাছে অনুমতির জন্য আবেদন পাঠানো হয়েছে। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কোন অনুমোদন পাওয়া যায়নি। চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া না গেলেও যেভাবে তৎপরতা শুরু হয়েছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে এখানে একটি মিনি জু তৈরীর সম্ভাবনা প্রকোট তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ দীঘার কোন জায়গায় এমন মিনি জু তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে? নতুন যে মিনি জু তৈরির পরিকল্পনা চলছে সেটি নিউ দীঘা এলাকায় তৈরি করা হবে। এই এলাকায় দত্তপুর মৌজায় দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের একটি বিস্তর জায়গা পড়ে রয়েছে। উড়িষ্যা সীমান্তের কাছে থাকা এই জায়গার পরিমাণ ২৪ একর। সেখানেই এমন চিড়িয়াখানা তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করছে দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। যেখানে কুমির, ঘড়িয়াল এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের প্রাণী রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।