নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর গরমের দাপটে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি দেশের বেশ কিছু জায়গায়। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে এর আগে কখনো এমন পরিস্থিতি সামনে এসেছে কিনা তা জানা নেই অধিকাংশ মানুষেরই। এমন পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে সবাই এখন চাতকের মত বৃষ্টির (Rain) দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।
গরমের এমন তাণ্ডবের পিছনে মূলত রয়েছে এল নিনো। গত বছর থেকেই এল নিনো বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তান্ডব চালাচ্ছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় উষ্ণ জলস্রোত তাপমাত্রা বাড়িয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠের। সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে তা ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলছে জলবায়ুর উপর। আর এর ফলেই ঋতুচক্র অর্থাৎ শীত গ্রীষ্ম বর্ষার সমীকরণে এসেছে আমূল পরিবর্তন। প্রচন্ড গরমে কাবু করছে বিশ্বকে।
তবে এসবের মধ্যেই স্বস্তির খবর মিলেছে। ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ওশান ইনফরমেশন সার্ভিসেস পূর্বাভাস দিয়েছে, এল নিনো থেকে লা নিনায় পরিবর্তনের। স্পষ্ট হবে টের পাওয়া যাচ্ছে, পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রার এল নিনো থেকে লা- নিনায় রূপান্তরিত হতে চলেছে। তবে এল নিনো থেকে লা নিনায় পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে হয়তো আরো কয়েকটি দিন অপেক্ষা করতে হলেও হতে পারে।
ইনস্টিটিউটের তরফ থেকে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে সেই পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী জুলাই মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই এল নিনো ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ লা নিনায় পরিণত হতে পারে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, লা নিনা পরিস্থিতি আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ প্রভাব বজায় রাখবে। এর প্রভাব ভারতে খুব ভালোভাবেই পড়বে বলে জানানো হয়েছে।
এর প্রভাবে ভারতের দক্ষিণ উপদ্বীপ এবং মধ্য ভারতের স্বাভাবিক বৃষ্টি হবে। উত্তর পশ্চিম ভারতেও বৃষ্টির পরিমাণ থাকবে স্বাভাবিক। অন্যদিকে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে জুন মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত গড় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের এই সমস্ত এলাকার ছাড়া বাকি এলাকায় স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে এবং তার ফলে বন্যা, ধস, ভূমিধস ইত্যাদির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনাও ঘটতে পারে।