নিজস্ব প্রতিবেদন : সোনার দাম (Gold Price) বাড়লো না কমলো তা নিয়ে সাধারণ মানুষদের কৌতুহলের শেষ নেই। আসলে সোনা নিয়ে এত কৌতূহলের পিছনে বেশ কিছু কারণও রয়েছে। কেননা ভারতীয়দের মধ্যে সোনার প্রতি আকর্ষণ কিছুটা হলেও বেশি। বিশ্বে মোট যে পরিমাণ সোনা রয়েছে তার ১১ শতাংশ রয়েছে ভারতীয়দের কাছে। আর এই সোনা নিয়েই কেন্দ্র সরকারের একটি সিদ্ধান্ত দামের ক্ষেত্রে সবকিছু বদলে দিল। দামের ক্ষেত্রে এমন বদল এসেছে সোনার উপর শুল্কের (Gold Tax) পরিবর্তনের ফলে।
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে সোনার উপর আমদানি শুল্ক কমিয়ে দেওয়ার ফলে সোনার দামের ক্ষেত্রে বেশ পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। এমনকি এখন দুবাইয়ের সঙ্গে কলকাতার সোনার দামের পার্থক্য কমে দাঁড়িয়েছে অনেকটাই। দুবাই যাওয়া আসা আর কলকাতায় বসে সোনা কেনার ক্ষেত্রে খরচ খরচা বাদ দিয়ে এমন কিছু পার্থক্য দেখা যাবে না।
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে আগে সোনা ও রুপোর উপর আমদানি শুল্ক হিসাবে নেওয়া হতো ১৫ শতাংশ। এর মধ্যে ১০ শতাংশ ছিল মৌলিক শিল্প এবং বাকি ৫ শতাংশ ছিল কৃষি অবকাঠামো সেস। কিন্তু এবার বাজেটে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ৬ শতাংশ কাস্টম ডিউটি কমানো হয়েছে। বেসিক কাস্টম ডিউটি ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করার ঘোষণা করা হয়েছে এবং কৃষি অবকাঠামো সেস ১ শতাংশ কমানোর ঘোষণা করা হয়েছে।
কেন্দ্র সরকারের এমন ঘোষণার পর সোনার দামে হু হু করে পতন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শুধু পতন লক্ষ্য করা নয়, এর পাশাপাশি সবচেয়ে বড় যে প্রশ্নটি উঠছে তা হল দুবাই প্রীতি। সোনার দামের ক্ষেত্রে এমন পরিবর্তন আসার ফলে ওয়াকিবহাল মহলের বড় অংশ মনে করছেন, কেন্দ্র সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ফলে সোনা নিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের দুবাই প্রীতি অনেকটাই কমে যাবে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের একাংশ দাবি করছেন, কাস্টম ডিউটি কমে যাওয়ার ফলে যে সকল ভারতীয়রা মাঝে মাঝেই দুবাই ভ্রমণে গিয়ে সোনা কিনতেন তাদের ক্ষেত্রে এবার ভাটা পড়বে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, গত ১০-১২ দিন আগে পর্যন্ত দুবাইয়ের সঙ্গে ২৪ ক্যারেট ১০ গ্রাম সোনার দাম ভারতীয় বাজারের থেকে অন্ততপক্ষে ১৪ হাজার টাকা কম ছিল। সেই ফারাক এখন কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় বাজারে সোনার দামের ক্ষেত্রে এমন পতন দুবাই প্রীতি কমিয়ে দেবে, কলকাতার মত জায়গাতে বসেও দুবাইয়ের দামি মিলবে সোনা বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও সোনার দাম কমে যাওয়ার ফলে সোনার গয়না তৈরি আরও বৃদ্ধি পাবে হলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।