New Rail line: ২০০৯ এ শিলান্যাসের পর অবশেষে ২০২৪-এ এসে বাস্তবায়িত হতে চলেছে রেললাইন সম্প্রসারণ

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

New Rail line: অত্যন্ত কম খরচে এক জায়গা থেকে অপর জায়গায় পৌঁছানোর সবচেয়ে দ্রুততম মাধ্যম হলো ট্রেন। প্রতিনিয়ত অগণিত মানুষ ট্রেনে চড়ে তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছাচ্ছেন। আর ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে একের পর এক নিত্য নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে। তার মধ্যে একটি নতুন পদক্ষেপ হলো জয়নগর-মজিলপুর স্টেশন থেকে রায়দিঘি পর্যন্ত রেললাইন বাড়ানো। বহু বছর ধরে সাধারণ মানুষের দাবি ছিল এই লাইনে রেল লাইনটি সম্প্রসারণের (New Rail line) জন্য। কিন্তু কোনভাবেই হয়ে উঠছিল না। অবশেষে জয়নগরের মজিলপুর স্টেশন থেকে রায়দিঘি পর্যন্ত যে রেললাইনটি রয়েছে তার সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Advertisements

তবে এই পদক্ষেপ সম্প্রতি নেওয়া হয়নি। বহুদিন আগেই জয়নগর-মজিলপুর স্টেশন থেকে রায়দিঘি পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের জন্য শিলান্যাস করা হয়েছিল। কিন্তু নতুন রেললাইন (New Rail line) সংক্রান্ত কোনো কর্মকান্ড শুরু হয়নি। সালটি ছিল ২০০৯। তখন রেলমন্ত্রী ছিলেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজে জয়নগর-মজিলপুর স্টেশন থেকে রায়দিঘি পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার রেললাইন সম্প্রসারণ করার উদ্দেশ্যে ভার্চুয়ালি শিলান্যাস করেন। এই শিলান্যাস করা হয়েছিল রায়দিঘি বাসস্ট্যান্ডে। কিন্তু ব্যাপারটি সেখানে থমকে যায়।

Advertisements

আরো পড়ুন: জগদ্ধাত্রী পুজোয় সন্ধ্যে থেকে রাত পর্যন্ত চলবে স্পেশাল ট্রেন, রইল সময়সূচি

লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায় করে রায়দিঘিতে চোখ ধাঁধানো মঞ্চ করে জনসম্মুখে এই শিলান্যাসের অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত মোহন জাতুয়া। যিনি সেই সময় সাংসদ ছিলেন। ২০০৯ এরপর কেটে গেছে বহু বছর। ২০২৪-এ এসেও রেললাইন সম্প্রসনের কাজ শুরু হয়নি। তাই এবার এই বিষয়টি হাল ধরেন স্থানীয় সাংসদ বাপি হালদার। তিনি আর রাজ্যকে ঘোষণা করে সরাসরি কেন্দ্রে দাবি জানিয়ে চিঠি পাঠান। তিনি সরাসরি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছে চিঠিটি পাঠান।

Advertisements

আরো পড়ুন: একসময় রমরমিয়ে চলত হাওড়া শিয়ালদা লোকাল ট্রেন, চলুন জেনে নিই এই ইতিহাসের কথা

এখন সকলের মনে একটাই প্রশ্ন বাপি হালদার তার চিঠিতে এমন কি উল্লেখ করেন! যতদূর পর্যন্ত জানা গেছে তাতে তিনি শুধুমাত্র সাধারণ জনগণের অসুবিধার কথাই তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন রায়দিঘী জয়নগর থেকে রায়দিঘি পর্যন্ত রেল লাইনের সম্প্রসারে শুধুমাত্র যে অগণিত সাধারণ যাত্রীদের সুবিধা হবে তাই নয়। বরং এর পাশাপাশি ভালো কর্মসংস্থান গড়ে উঠবে। এর ফলে বহু বেকার মানুষ যেন উপকৃত হতে পারে। তাই যত শীঘ্রই সম্ভব এই কাজ যেন শুরু করা হয়।

আসলে যদি রায়দীঘি থেকে জয়নগরের মজিলপুর পর্যন্ত নতুন রেললাইনটি (New Rail line) চালু হয়, তবে ট্রেনে অসম্ভব ভিড় খানিক হলো কমানো যাবে। বর্তমানে ট্রেনে যাত্রী সংখ্যা এতটাই বেড়ে চলেছে যে প্রায় হাতে প্রাণ নিয়ে ঝুলে ঝুলে যেতে হয় বহু যাত্রীদের। এছাড়া টানা রায়দিঘী থেকে জয়নগর পৌছানো যায় না মাঝখানে কলকাতা হয়ে তাদের যেতে হয়। এই নতুন রেল লাইন চালু হলে এই ব্রেক আর নিতে হবে না যাত্রীদের। পাথরপ্রতিমা, মথুরাপুর ২ ব্লক, কুলতলী ব্লক, জয়নগর ১ এই সমস্ত এলাকার মানুষজন ভীষণভাবে উপকৃত হবে।

Advertisements