নিজস্ব প্রতিবেদন : একদিকে যখন দেশের মাটিতে ক্রিকেটাররা টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে নেমেছেন ঠিক সেই সময় বাংলার রাজনীতিতেও শুরু হয়ে গেল ২০-২০। আর এই ২০-২০ খুব তাড়াতাড়ি উনিশ বিশে রূপান্তরিত হতে পারে বলেও জল্পনা তৈরি হয়েছে। কিসের ২০-২০ বা কিসের উনিশ বিশ! আসলে বাংলার সাংসদ সংখ্যায় তৃণমূল বিজেপির চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়েছে বিধানসভা ভোটের আগে।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে তৃণমূলের দখলে এসেছিল ২২টি লোকসভা কেন্দ্র। এই নির্বাচনে বিজেপি জয় লাভ করে ১৮টি লোকসভা কেন্দ্রে। অন্যদিকে কংগ্রেসের দখলে যায় ২টি লোকসভা কেন্দ্র। অর্থাৎ হিসেব অনুযায়ী তৃণমূলের ২২ জন, বিজেপির ১৮ জন এবং কংগ্রেসের ২ জন সাংসদ ছিল। আর বর্তমানে সেই সংখ্যার ওলটপালট হতে দেখা যাচ্ছে।
বিজেপির ১৮ সাংসদ থেকে ১৯ সাংসদ হয় বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মন্ডল বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সাথে সাথেই। বিজেপির এক সাংসদ বৃদ্ধির পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২১-এ। আর রবিবার তৃণমূলের আরও এক সাংসদ শিশির অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারনে সাংসদের সংখ্যায় তৃণমূল-বিজেপি ২০-২০। আর এই সংখ্যাটা খুব তাড়াতাড়ি ১৯-২০, অর্থাৎ তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যাকে বিজেপি সাংসদ সংখ্যা খুব তাড়াতাড়ি টপকে যেতে পারে জল্পনা এমনটাই।
[aaroporuntag]
কারণ তৃণমূলের আরও এক সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী খুব তাড়াতাড়ি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। শুধু জল্পনা বললে ভুল হবে, অধিকারী পরিবারের সাথে তৃণমূলের সম্পর্ক বর্তমানে যে জায়গায় এসে পৌঁছেছে তাতে কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে দিব্যেন্দু অধিকারি আগামী ২৪ শে মার্চ নরেন্দ্র মোদীর সভাতেই হাতে পদ্ম নিতে পারেন। আর এমনটা হলে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই সাংসদ সংখ্যায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল বিজেপির কাছে হার মানতে হবে।