নিজস্ব প্রতিবেদন : টানা গরমের কারণে দীর্ঘ দেড় মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত প্রাইমারি থেকে শুরু করে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক সমস্ত স্কুল। গত ১০ জানুয়ারি দীর্ঘ গরমের ছুটি (Summer Vacation) কাটিয়ে ফের স্কুলের দরজা খুলেছে। আর স্কুলের দরজা খুলতেই নতুন নতুন পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন স্কুলকে।
বিভিন্ন স্কুলকে মূলত বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে। ৪৯ দিন পর পুনরায় স্কুল খুললেও ফের যেভাবে গরমের দাপট লক্ষ্য করা গিয়েছে তাতে স্কুলের সময়সূচী বদল করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের অ্যাডভাইসডারি অনুযায়ী এখন রাজ্যের অধিকাংশ স্কুল সকালে শুরু হচ্ছে আর বেলা বাড়ার আগেই ছুটি হয়ে যাচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা সবচেয়ে বড় যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন সেটি হল সিলেবাস শেষ করা। একদিকে দীর্ঘ ছুটি, আবার দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে যখন ফের স্কুলের দরজা খুলে দেওয়া হচ্ছে সেই সময় আবার তীব্র গরম। যে তীব্র গরমের কারণে মর্নিং স্কুল করার ফলে আগের মত আর সময় পাওয়া যাচ্ছে না ক্লাস করানোর। এই পরিস্থিতিতেই এবার একটি স্কুলের তরফ থেকে রবিবারও ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন ? School Birbhum: গরমের ছুটি শেষ, মর্নিং স্কুল, গিয়েই দেখলেন শিক্ষক শিক্ষিকারা দেখলেন যা-তা অবস্থা
সিলেবাস যাতে শেষ করা যায় সেই কথা মাথায় রেখে রবিবার ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। মূলত রাজ্যের অধিকাংশ পড়ুয়ারা প্রত্যন্ত এলাকার পড়ুয়া, যাদের বড় অংশ স্কুলের পঠন পাঠনের উপরই নির্ভর করে থাকে। সেক্ষেত্রে দীর্ঘ ছুটি এবং এখন মর্নিং স্কুল হওয়ায় যেভাবে সময় নষ্ট হয়েছে তা তাদের জন্য অত্যন্ত সমস্যার। এই সমস্যা দূর করতেই এমন অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রবিবার সকালে স্কুলে ক্লাস (Sunday School in Birbhum) নেওয়ার এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বীরভূমের সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কড়িধ্যা যদুরায় মেমোরিয়াল এন্ড পাবলিক ইন্সটিটিউশনে (Karidhya Jaduroy Memorial and Public Institution)। গত ১৬ জুন রবিবার থেকে তাদের এই উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়। প্রথম দিন তারা নবম শ্রেণীর তিনটি বিষয়ের ক্লাস নেন। আগামী রবিবারগুলিতে তারা অন্যান্য শ্রেণীর বিভিন্ন বিষয়ের ক্লাস নেবেন বলে জানিয়েছেন এবং দীর্ঘ ছুটির কারণে পড়ুয়াদের যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করার চেষ্টা চালাবেন। স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে একদিকে যেমন খুশি অভিভাবকরা ঠিক সেইরকমই খুশি পড়াশোনায় আগ্রহ থাকা পড়ুয়ারাও।