নিজস্ব প্রতিবেদন : লোকসভা ভোটের আগে দু’দুবার বীরভূমের জেলাশাসক (Birbhum DM Changed) বদল করা হয়। ২০২১ সাল থেকে জেলাশাসক হিসাবে থাকার পর বিধানচন্দ্র রায়কে চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে পাঠানো হয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের। অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বীরভূমের। তবে ভোট ঘোষণা হতেই ফের বীরভূমের জেলাশাসক বদল করে নির্বাচন কমিশন।
লোকসভা ভোট ঘোষণা হওয়ার পর এমসিসি লাগু হতেই বীরভূমের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজিকে সরিয়ে মার্চ মাসের ২৪ তারিখ নির্বাচন কমিশন বীরভূমের জেলাশাসক করেছিল শশাঙ্ক শেঠিকে। এরপর ভোট পর্ব মিটতেই নতুন করে বীরভূমের জেলাশাসক বদল করল নবান্ন। বৃহস্পতিবার বীরভূমের নতুন জেলাশাসকের নাম জানানো হলো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফ থেকে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, বীরভূমের জেলাশাসক হিসাবে শশাঙ্ক শেঠির পরিবর্তে জেলাশাসক করা হচ্ছে বিধান চন্দ্র রায়কে। বীরভূম সম্পর্কে বিধান চন্দ্র রায় অনেক বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। জেলাশাসক হিসাবে তিন বছরের বেশি সময় বীরভূমে কাটানোর পাশাপাশি তিনি আগেও বীরভূমে উচ্চপদস্থ আধিকারিক হিসাবে দীর্ঘ সময় কাজ চালিয়েছেন। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই নবান্ন ফের একবার ভরসা রাখলেন বিধান চন্দ্র রায়ের উপর এবং তাকেই বীরভূমের মতো জায়গার দায়িত্ব ফের একবার দিলেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।
জেলাশাসক হিসাবে বীরভূমের দায়িত্ব প্রথমবার বিধান চন্দ্র রায়ের হাতে গিয়েছিল ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল পুনরায় সরকারে আসার পর ১৭ জুন তাকে বীরভূমের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকেই ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি বীরভূমের জেলাশাসকের দায়িত্ব সামলান। এরই মধ্যে তাকে পূর্ব বর্ধমানে পাঠানো হয়েছিল। আর এবার তাকে পুনরায় বীরভূমে ফিরিয়ে আনা হলো।
বিধান চন্দ্র রায় ১৯৯৩ ব্যাচের একজন ডব্লিউবিসিএস অফিসার। বর্তমানে তিনি পাওয়ার ডিপার্টমেন্টের স্পেশাল সেক্রেটারি হিসাবে নিযুক্ত রয়েছেন। এর আগেও তার বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্ব সামলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর আগে তিনি রাজ্য খাদ্য দপ্তরের যুগ্মসচিব পদেও ছিলেন।