নিজস্ব প্রতিবেদন : দক্ষিণবঙ্গে ফের একবার তাপপ্রবাহের অ্যালার্ট (Heatwave alert South Bengal) জারি করা হলো হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। যখন দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা বর্ষার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন ঠিক সেই সময় এমন হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস রীতিমতো সবার মন খারাপ করে দিয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস থেকে যা জানা যাচ্ছে তাতে আগামী কয়েক দিন পরিস্থিতি খুব খারাপ হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ভারত ভূখণ্ডের কেরলের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারত এবং পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় পৌঁছে গেলেও তারপর থেকে আর হিলছে না। ৩১ মে উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢোকার পর থেকে একই জায়গায় রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে যা জানা যাচ্ছে তাতে আগামী ১৩ জুন ছাড়া দক্ষিণবঙ্গের দিকে এগোবে না দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। আর এই মৌসুমী বায়ু গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়তে সময় নেবে অন্ততপক্ষে ১৫ জুন।
বর্ষার আগমন নিয়ে এমন খারাপ খবরের মধ্যেই রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি তাপমাত্রার পারদ তরতড়িয়ে উঠবে বলেও জানানো হয়েছে। নতুন করে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সহ পশ্চিমের জেলাগুলির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ থেকে ৪৪ ডিগ্রিতে পৌঁছে যেতে পারে। এছাড়াও কলকাতায় ফের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রিতে পৌঁছে যেতে পারে।
আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আগামী দুদিনে ৩ ডিগ্রী বাড়বে। সবচেয়ে অস্বস্তি বাড়বে পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামের মতো জেলায়। এছাড়াও অস্বস্তি থাকবে বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ৯ জুন থেকে তাপপ্রবাহ দেখা যাবে পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ায়। ১১ জুন পর্যন্ত এই সকল জেলায় তাপপ্রবাহের সর্তকতা রয়েছে।
রবিবারের থেকে দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায় নতুন করে তারপর প্রবাহ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পাশাপাশি উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় নাজেহাল হতে হবে বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দাদের। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো হাওয়া অফিসের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত যে আপডেট দেওয়া হয়েছে তাতে ৯ জুন অর্থাৎ রবিবার থেকে ৩ জেলায় তাপপ্রবাহ এবং ৫ জেলায় উষ্ণ আর্দ্র পরিস্থিতি শুরু হলেও কবে সমাপ্তি হবে তা এখনো জানানো হয়নি। ১১ তারিখ পর্যন্ত আবহাওয়ার আপডেট দেওয়া হয়েছে এবং ওই ১১ তারিখ পর্যন্তই এমন পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলে জানানো হয়েছে।