প্রতিম মস্করা : বিয়ের ভুয়ো কার্ড দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের প্রকল্প রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মতো অভিযোগ নিয়ে দিন কয়েক ধরেই সরগরম বীরভূম। এমন ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটি দু’নম্বর ব্লকের অন্তর্গত নওয়াপাড়া এবং তিলোরা গ্রামে। এই দুই গ্রামের ৮ জন বিবাহিত মহিলার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে।
এই ঘটনার তদন্ত এবং অন্যান্য বিষয়ের অবসান হতে না হতেই আরও এক জালিয়াতির খবর মিললো একই প্রকল্পে। এবার অভিযোগ আরও গুরুতর। উপভোক্তাকে না জানিয়ে রূপশ্রীর টাকা অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে সেই টাকা তুলে নেওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে। অর্থাৎ যার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকলো তিনি জানেনই না কি জন্য টাকা ঢুকলো। এবারের ঘটনাও সেই বীরভূমের নলহাটি দু’নম্বর ব্লকের। আর এমন একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে এই এলাকায় রূপশ্রী প্রকল্প নিয়ে বড়োসড়ো একটি চক্র কাজ করছে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
অভিযোগকারী মহিলা মাহেরা বিবি অভিযোগ করেছেন, “রহমা বিবি প্রথমে আমার ব্যাঙ্কের পাসবই নিয়ে যায়। আপডেট করানোর নাম করে। পরে একদিন এসে আধার কার্ড নিয়ে যায়। আধার লিঙ্ক করতে হবে এমনটা জানিয়ে। এরপর আবার একদিন এসে আমার স্বামীর আধার কার্ড নিয়ে যায়। এরপর বারবার টাকা তোলার জন্য আমাকে বলতে থাকে। লকডাউন শেষ করে টাকা তুলে দিয়েছি। কিন্তু সেই টাকা কিসের জানতাম না অথবা এতটা জিজ্ঞাসা করিনি। এখন বিভিন্ন দিকে নানান গল্প শোনার পর ব্যাঙ্কে গিয়ে জিজ্ঞেস করি এই টাকাটা কিসের ঢুকেছিল? তখনই ব্যাঙ্কের থেকে জানতে পারি টাকাটা রূপশ্রী প্রকল্প থেকে ঢুকেছিল।”
ওই মহিলা জানান, “আমি জানতামই না আমার নামে রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা তোলা হয়েছে। ছলনা করে আমার কাছ থেকে আধার কার্ড, ব্যাঙ্কের পাসবই এই সকল নিয়ে যাওয়া হয়। আর কখন পাসপোর্ট ছবি তুলেছিল সেটা বুঝতে পারিনি। আমি ওই মহিলার উপযুক্ত শাস্তি চাই। যার জন্য বিডিও সাহেবকে জানাতে এসেছি।”
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নলহাটি দু’নম্বর ব্লকের তরফ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি প্রশ্ন থেকেই যায়, ভুয়ো পরিচয় দেখিয়ে রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা হাতানোর পর ভাগ-বাটোয়ারার মতো কোনো গল্প এই ঘটনায় জড়িয়ে নেই তো?