Malaika Arora: বাবার সঙ্গে বয়সের পার্থক্য মাত্র ১২ বছরের, মালাইকার জীবনের এ কোন সত্যি সামনে আসলো

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Malaika Arora: বলিউডের খ্যাতনামা অভিনেত্রী মালাইকা অরোরাকে সকলেই চেনেন, কিন্তু গত বুধবার তার জীবনে নেমে এসেছে এক চরম বিপর্যয়। বাবা অনীল মেহতাকে হারিয়ে রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন তিনি। পুলিশ মারফত জানা গেছে যে, নিজেরই ফ্ল্যাটের ছয়তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। জীবনের এই কঠিন পরিস্থিতিতে পরিবারের জন্য সময় চেয়েছেন মালাইকা এমনকি সবকিছুতেই প্রাইভেসি বজায় রাখতে চান তিনি।

Advertisements

তবে এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেই একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। নেটিজেনরা কোনভাবেই এই সমস্যার সমাধান করতে পারছে না, মূলত বলা চলে অংকের হিসাব মিলাতে পারছেন না। কিভাবে বাবার থেকে বয়সে মাত্র ১২ বছরের ছোট হতে পারে মালাইকা(Malaika Arora)? বিজ্ঞানসম্মত ভাবে এও কী সম্ভব? এই নতুন তথ্য সামনে আসার পর বিষয়টি নিয়ে জল্পনা একেবারে তুঙ্গে উঠেছে। কিভাবে বাবার সঙ্গে মেয়ের বয়সের ফারাক এত কম হতে পারে?

Advertisements

৬২ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন অনীল মেহতা এবং বর্তমানে মালাইকার বয়স হল ৫০ বছর। আসলে অনীল মেহতা মালাইকার জন্মদাতা পিতা নন। তবে মালাইকার জন্মদাতা পিতার নামও কিন্তু অনীল। কিন্তু তাঁর পদবী ছিল আরোরা। অনীল অরোরা ও তাঁর মা জয়েস পলিকারপের যখন বিচ্ছেদ হয় তখন মালাইকা খুবই ছোট।

Advertisements

আরো পড়ুন: ভাগ হয়ে গেল বচ্চন পরিবারের সম্পত্তি, কি পেলেন ঐশ্বর্য ও তার মেয়ে

পরবর্তীকালে জয়েস অর্থাৎ মালাইকার মা বিয়ে করেন অনীল কুলদীপ মেহতাকে। মালাইকা (Malaika Arora)ও তাঁর বোন অমৃতা একেবারে ছোটবেলা থেকেই মানুষ হয়েছে এই অনীল মেহতার কাছে। অনীল সর্বদা এই দুই বোনকে নিজের সন্তানের মতোই ভালোবেসে এসেছেন। মালাইকার দুই বাবার নামই যেহেতু এক, সেই কারণে অনীলের মৃত্যুর পর এক চরম বিভ্রান্তির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। কথায় আছে নামে কি আসে যায়? তবে নাম বিভ্রাট ঘটলে অনেক কিছুই হতে পারে এটি তার প্রমাণ।

মালাইকার (Malaika Arora)জন্মদাতা বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হওয়ার সময় মালাইকার বয়স মাত্র ১১ বছর এবং বোন অমৃতার বয়স ৬ বছর ছিল। তারা দুই বোন আসলে তার মায়ের কাছেই মানুষ হয়েছে। মালাইকার সৎ বাবা অনীলের আসলে কি হয়েছিল যার জন্য এমন চরম সিদ্ধান্ত নিতে তিনি বাধ্য হয়েছেন? সূত্র মারফত জানা গেছে যে, মৃত্যুর আগে মেয়েকে ফোন করেছিলেন অনীল। ফোনে জানিয়েছিলেন তিনি বড়ই ক্লান্ত এবং তারপরেই এই চরম সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বর্তমানে গোটা পরিবারই এইসব কাটিয়ে উঠতে পারছে না।

Advertisements