নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী’, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে দেশের বিভিন্ন অংশে। এমনটাই সতর্কতাবাণী দিয়েছেন এইমস কর্তা রণদীপ গুলেরিয়া।
দেশজুড়ে সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমতেই শুরু হয়েছে আনলক। তবে এই আনলক পর্যায়ে বড় সমস্যা হল টিকা। টিকা সংকটের কারণে আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সকলকে টিকা দেওয়া কেন্দ্রের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সে ক্ষেত্রে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানো খারাপ পদক্ষেপ নেই বলেই মনে করছেন গুলেরিয়া।
করোনার ডেল্টা প্রজাতি, যা প্রথম ভারতে খুঁজে পাওয়া যায় সেই প্রজাতি এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়ে এইমস কর্তা রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, ‘করোনাভাইরাসের অভিযোজনের জন্য আলাদা করে নজর দিতে হবে।’ পাশাপাশি তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এই ডেল্টা প্রজাতি থেকে অভিযোজন হয়ে ডেল্টা প্লাস রূপ নিতে পারে। তবে এতকিছুর পরেও সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাব নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি করোনার তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী বলে দাবি করেছেন।
এইমস কর্তা রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, “আনলক প্রক্রিয়া শুরু হতেই সাধারণ মানুষ ফের করোনা বিধি নিয়ে গা-ছাড়া মনোভাব দেখাতে শুরু করেছেন। সংক্রমণের প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউ দেখে আমরা শিক্ষা নিই নি। আবারও নতুন করে ভিড়, জমায়েত শুরু হয়েছে।”
আর এসকল দেখে গুলেরিয়া জানিয়েছেন, “ফের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। আগামী ছয় সপ্তাহ থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে বা তার পরে পরেই তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে সাধারণ মানুষের সচেতনতার উপর। সাধারণ মানুষ কতটা করোনা বিধি মেনে চলছেন এবং জমায়েত এড়িয়ে চলছেন তার উপর নির্ভর করবে সংক্রমণের দ্রুততা।”