আজ ১৬ দিন হতে চললো সকলের মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। যার প্রয়াতে শোকাহত সারা বহরমপুরবাসী সহ তাঁর পরিবার ও অনুরাগীরা।
তবে সেই শোকাহত থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় অনুরাগী সহ বহরমপুরবাসীরা ফিরলেও শর্মা পরিবারের সেই শোকোস্তব্ধ অবস্থা থেকে ফিরতে পারেনি ঐন্দ্রিলার পরিবার। মেয়ের স্মৃতিকে নিয়েই একা অপরকে ভালো রাখার প্রচেষ্টায় রয়েছে ঐন্দ্রিলার মা-বাবা, দিদি।
বেশ কিছুদিন আগে জানা গিয়েছিল বহরমপুরবাসীরা ঐন্দ্রিলার স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। আর সেই অনুষ্ঠানে গিয়েছিল ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা। আর সেখানে গিয়েই তিনি ঐন্দ্রিলার চিকিৎসার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন এক মহিলা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কি বললেন তিনি।
ঐন্দ্রিলার মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমার মেয়েকে বাঁচানো যেত। শুধুমাত্র একজন চিকিৎসকের জন্য সেটা সম্ভব হল না। উনি দায়িত্ব নিয়ে আমার মেয়েকে ডিপ কোমায় পাঠিয়ে দিলেন।” এছাড়া তিনি এও বলেছেন যে, ঐন্দ্রিলার শারীরিক অসুস্থতার পর তাঁকে তাড়াতাড়ি হাওড়ার ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ড. মল্লিক-এর সাথে অপারেশনের কথা হয়। তিনি খুবই ভালো মানুষ। কিন্তু ওই মহিলা চিকিৎসকের জন্যই ঐন্দ্রিলা আজ আমাদের মধ্যে নেই বলেই জানিয়েছেন শিখা দেবী।
এছাড়া শিখা দেবী আরো বলেছেন যে, ঐন্দ্রিলাকে সুস্থ করার জন্য তাঁরা ডাক্তার আনারও ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু ওই মহিলা চিকিৎসক কোনো কিছুর অনুমতি দেননি। এমনকি ঐন্দ্রিলার দিদিও একজন ডাক্তার বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া ঐন্দ্রিলার মা এও বলেছেন যে, তাঁর মেয়ের হার্ট, লিভার ফুসফুস সবকিছুই ভালো ছিল। তা না হলে ১০ বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলেও সেই ধকল কেউ নিতে পারে না। কিন্তু একজনের ইগোর কারণেই আজ শেষ হতে হল ২৪ বছর বয়সী ঐন্দ্রিলাকে, জোর গলায় বললেন শিখা দেবী।