সত্যিই ফাইট মানেই ছিল ঐন্দ্রিলা, হাসপাতালেও নাচ, ভিডিও না দেখলে বিশ্বাস হবে না

Antara Nag

Updated on:

Advertisements

অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা (Aindrila) ছিলেন দুই বোন। তিনি ছোট। বড় বোনের নাম ঐশ্বর্য শর্মা (Aishwarya)। তিনি পেশায় চিকিৎসক। বোনের আকস্মিক প্রয়ানে বিহ্বল দিদি এদিন ফেসবুকে এক পোস্ট করেছেন। যে দেখে চোখ ভিজবে যে কারো। আসলে যে ইহলোক ছেড়ে চলে যায়, সে কি ফিরে আসে? তা কি সম্ভব? এটা একটা আস্ত তর্কের বিষয়। কিন্তু দিদির মন তো বোনের জন্য কোনো তর্ক মানে না! ‘বুনু’ ঐন্দ্রিলার জন্য তার কাতর আর্জি, “অনেকদিন তো হল, এবার তাড়াতাড়ি চলে আয় বুনু।”

Advertisements

আসলে ঐন্দ্রিলা দুই বার ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এই ক্যান্সারকে বলা হয় ইউয়িং সারকোমা। যা বিশেষত নরম হাড় ও তরুণাস্থিকে আক্রমণ করে এবং সাধারণ ভাবে রোগী এক বার সেরে ওঠার পর কিছু বছরের মধ্যে আবারও এই রোগ ফিরে আসে। তেমনই দ্বিতীয় বারও ঐন্দ্রিলা ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। সেই সময়ে ঐন্দ্রিলার কেমো চলাকালীন একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তার দিদি ঐশ্বর্য।

Advertisements

ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে হাতে স্যালাইনের চ্যানেল লাগানো রয়েছে। আর সেই অবস্থাতেই নাচছেন ঐন্দ্রিলা। পরনে পিঙ্ক কালারের হাসপাতালের এপ্রোন। স্বভাবতই কেমোর কারণে চুল পড়ে গেছে। মাথায় পিঙ্ক রঙের টুপি। জায়গাটাও সম্ভবত হাসপাতালের কেবিন। ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন “শক্তি ,সাহস ,যুদ্ধ, জয়ের আর এক নাম আমার বুনু।”

Advertisements

তিনি ফেসবুকে অন্য একটি পোস্টে বোনের সাথে ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, “অনেকদিন তো হলো ,এবার তাড়াতাড়ি চলে আই বুনু। তুই ছাড়া আমি যে পঙ্গু। কে আমাকে সাজিয়ে দেবে বলতো? কে আমার ছবি তুলে দেবে? কে না বলা মনের কথা গুলো আমার মুখ দেখে বুঝে যাবে? কে Aladdin এর আশ্চর্য্য প্রদীপ এর মতো আমার সমস্ত মনের ইচ্ছে পূরণ করবে? কার সাথে আমি ঘুরতে যাবো? কার সাথে পার্টি করবো? কার সাথে আমি সারারাত জেগে সিনেমা দেখবো গল্প করবো? কে আমাকে সঠিক পরামর্শ দেবে?”

তারপর ঐশ্বর্য লেখেন, “আমাদের এখনো কত প্ল্যান্স বাকি আছে বলতো? কে আমাকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসবে? কে আমার জন্য পুরো পৃথিবী র সাথে লড়বে,আমাকে আগলে রাখবে? আমার যে তুই ছাড়া র কোনো best friend নেই। তুই যে আমার জীবনীশক্তি। এই ২৪ বছর এ আমি যে নিজে থেকে কিছুই করতে শিখি নি বুনু। আমি জানি তুই সাবলম্বী কিন্তু তোর দিদিভাই যে তোকে ছাড়া খুব অসহায়। তাড়াতাড়ি আমার কাছে চলে আই বুনু। অপেক্ষায় রইলাম।”

Advertisements