HAL: ভারতের বিমান প্রস্তুতকারীর সংস্থা বা হ্যাল-র ওপর বেজায় চটে গেলেন দেশের বায়ুসেনা প্রধান এপি সিং। মঙ্গলবার তিনি বেঙ্গালুরুতে ইয়ালেহাঙ্কা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ‘অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২৫’-এ যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই বিমান প্রস্তুতকারী ভারতীয় সংস্থা হ্যালের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দেন। তার নাকি হ্যালের উপর আর বিন্দুমাত্র ভরসা নেই। বিশ্বাস ভঙ্গ করে চলেছে হ্যাল। এবার যাতে বায়ুসেনার বিশ্বাস ফেরে, সেই ব্যবস্থাই করা উচিত ভারতীয় বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থার।
গত মাসেও নাকি ভারতীয় বায়ুসেনার এক আলোচনায় মুখ খুলেছিলেন এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং। কিন্তু এবার বেজায় চটে গেলেন তিনি। কিন্তু দেশের বায়ুসেনা প্রধানের এরকম রেগে যাওয়ার পেছনে রয়েছে কোন কারণ? ঠিক কি কারনে হ্যালের (HAL) ওপর এত রেগে যায় এপি সিং, আসুন সব বিস্তারিত জানা যাক।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, হ্যাল (HAL) নাকি সময়মত বায়ুসেনাকে বিমান সরবরাহ করছে না বেশ কয়েক বছর। আগে ৪০টি তেজস মার্ক-১ সিরিজের যুদ্ধবিমান সরবরাহের বরাত দিয়েছিল বায়ুসেনা। ৮৩টি তেজস কেনার জন্য হ্যালকে বরাত দেওয়া হয়। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই বিমান সরবরাহ করেনি হ্যাল। সবকটি বিমান এখনো পায়নি বায়ুসেনা। এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং জানিয়েছেন, অনেক আগে বরাত দেওয়া হলেও হ্যাল এখনও তেজস মার্ক-টু যুদ্ধবিমান দেয়নি বায়ুসেনাকে। অর্থাৎ কথা দিয়ে কথা রাখতে পারছে না হ্যাল। হ্যালের আলসেমি এর জন্য দায়ী। হ্যালের এই দেরির কারণে এখন সমস্যার মুখে পড়ছে ভারতীয় বায়ুসেনা।
আরও পড়ুন: শুধু রেল নয়, এবার জাহাজ নির্মাণেও নাম কামাবে টিটাগড়, নয়া সিদ্ধান্তের ঘোষণা করল কোম্পানি
এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে আবার পাল্টা জবাব দিয়েছে হ্যাল। হ্যালের (HAL) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১৯৯৮ সালে পরমাণু পরীক্ষার পর তাদের আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নানা নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয় হ্যালকে। যার প্রভাব পড়েছে বিমান তৈরির ক্ষেত্রে। সবকিছু নাকি নতুন করে শুরু করতে হচ্ছে সংস্থার। সিএমডি ডিকে সুনীল জানান যে, বায়ুসেনা প্রধানের উদ্বেগ তারা বোঝে। এই সমস্যার জেরে বায়ুসেনার স্কোয়াড্রেনের শক্তি কমছে। কিন্তু হ্যাল প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে যে তারা তাদের পরিকাঠামো শীঘ্রই তৈরি করে নেবে এবং এই সমস্যার কথা বহুবার হ্যাল জানিয়েছে।
‘উড়ন্ত কফিন’ নামে পরিচিত মিগ-২১ বিমানের পরিবর্ত হিসেবে বায়ুসেনায় ব্যাপকভাবে তেজসের চাহিদা বাড়ছে। বায়ুসেনার প্রয়োজন মেটানো ও নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা ফেরানোর দায় এখন হ্যালের (HAL)। তাই বায়ুসেনার পুনরায় যাতে বিশ্বাস ফেরে সেই উদ্যোগ নেওয়া উচিত সংস্থার।