নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের টেলিকম বাজারে যে সকল টেলিকম সংস্থা নিজেদের ব্যবসা চালাচ্ছে তাদের মধ্যে অন্যতম একটি টেলিকম সংস্থা হল Airtel। এই টেলিকম সংস্থাটি এখন গ্রাহক সংখ্যা নিরিখে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা। পাশাপাশি এয়ারটেল কেবলমাত্র ভারতের পরিষেবা দেয় না, ভারতীয় টেলিকম সংস্থা হিসেবে বিশ্বের অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশেও পরিষেবা দিয়ে থাকে।
এয়ারটেল জিওর মত গ্রাহক সংখ্যা অথবা প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে এগিয়ে না থাকলেও আবার খুব একটা পিছিয়ে রয়েছে এমনটাও বলা যায় না। যে কারণে প্রতিনিয়ত দেশের বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা জিওর সঙ্গে তাদের প্রতিযোগিতা চলছে। তবে এসবের মধ্যেই এবার এয়ারটেলের জন্য একটি খারাপ খবর, কেননা সরকারি নিয়ম না মানার কারণে এবার এয়ারটেল বিপত্তির মুখে।
সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করার বিষয়টি সম্প্রতি সামনে আসার পরই দেশের টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের তরফ থেকে এয়ারটেল-এর উপর জরিমানা আরোপ (DoT Fined on Airtel) করা হয়েছে। এই জরিমানা আরোপের বিষয়টি সংস্থার তরফ থেকে সম্প্রতি স্বীকারও করা হয়েছে। মূলত তাদের এইভাবে জরিমানার মুখোমুখি হতে হয়েছে পাঞ্জাব সার্কেলের ক্ষেত্রে। তবে যা জানা যাচ্ছে তাতে কেবলমাত্র জরিমানা দিয়েই রক্ষা পাবে সংস্থাটি। জরিমানা দিয়েই রক্ষা পাওয়ার কারণে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে এয়ারটেলের অন্দরে।
আরও পড়ুন ? Airtel Tariff Rate: শেষ হতে চলেছে সস্তার দিন! এবার বাড়বে Airtel গ্রাহকদের খরচ, টান পড়বে পকেটে
গ্রাহক যাচাই-করণ নিয়ম অর্থাৎ KYC সংক্রান্ত নিয়মের ক্ষেত্রে ত্রুটি থাকার কারণেই এয়ারটেলের উপর এমন জরিমানা আরোপ করা হয়েছে। গত ২৭ মে এয়ারটেলের উপর জরিমানা করার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি পেয়েছে সংস্থা। টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ (DoT) গত মার্চ মাসে গ্রাহক যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে এয়ারটেলের এমন ত্রুটি খুঁজে পেয়েছে। আর এই ত্রুটির কারণেই Airtel এর উপর ১ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তবে এয়ারটেল-এর উপর জরিমানা এই প্রথম নয়। পাঞ্জাব সার্কেলেই একাধিকবার এয়ারটেল জরিমানার মুখোমুখি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাঞ্জাব সার্কেলেই এপ্রিল মাসে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। এর আগে আবার মার্চ মাসে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। একই ধরনের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে দিল্লি ও বিহার সার্কেলেও। যেখানেও ২.৫৫ লক্ষ টাকা জরিমানার মুখোমুখি হতে হয়েছিল সংস্থাটিকে। আর বারবার একই নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য জরিমানার ক্ষেত্রে সংস্থার বিরুদ্ধে নানান প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।