নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের টেলিকম বাজারে একসময় একচ্ছত্র রাজ চালিয়েছে Airtel। তবে পরবর্তীতে Jio এসে যাওয়ার পর এই টেলিকম সংস্থার জনপ্রিয়তা কমে। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজেদের অস্তিত্ব হারিয়ে যেতে দেয়নি এই টেলিকম সংস্থা। বরং এখনো পর্যন্ত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা হিসেবে এয়ারটেল নিজের রাজত্ব চালাচ্ছে।
ভারতের যেমন গুরুগ্রামের এই টেলিকম সংস্থা দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা হিসেবে রাজত্ব করছে, ঠিক তেমনি আবার এই টেলিকম সংস্থা ভারত ছাড়াও বিশ্বের আরও ১৭টি দেশে সমানভাবে পরিষেবা দিয়ে আসছে। একটি ভারতীয় সংস্থা হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এইভাবে পরিষেবা দেওয়ার যে কোন ভারতীয়দের কাছেই গর্বের বিষয়। সুনীল মিত্তলের এই টেলিকম সংস্থা ভারত ছাড়াও আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশে পরিষেবা দিচ্ছে।
ভারতের পর ২০১০ সালে এয়ারটেল পথ চলা শুরু করে আফ্রিকায়। ১২ বছরে ইতিমধ্যেই এই টেলিকম সংস্থা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে জাল বিছিয়েছে। তাদের পরিষেবা রয়েছে চাদ, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, গ্যাবন, কেনিয়া, মাদাগাস্কার, মালাউই, নাইজের, নাইজেরিয়া, রোয়ান্ডা, সেশেলস, তানজানিয়া, উগান্ডা এবং জাম্বিয়ায়।
আফ্রিকার ১৪টি দেশে এয়ারটেল পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার ভারত ছাড়াও একাধিক দেশে পরিষেবা প্রদান করছে। ভারতীয় এই সংস্থার বিস্তার দেখে ২০১০ সালে জিয়ান গ্রুপ তা অধিগ্রহণ করে। এরপর থেকেই আফ্রিকায় বিস্তার শুরু হয় এয়ারটেলের। দক্ষিণ এশিয়ার ভারত ছাড়াও শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশে ব্যবসা করছে এয়ারটেল।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এই টেলিকম সংস্থা আফ্রিকার চাদের বৃহত্তম টেলিকম কোম্পানি। এছাড়াও কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, গ্যাবন, মাদাগাস্কার, মালাউই, নাইজের, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, সেশেলস, তানজানিয়ার মতো দেশগুলিতেও শীর্ষস্থান অধিকার করে রয়েছে এয়ারটেল। কেনিয়া, উগান্ডায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এই টেলিকম সংস্থা। Airtel বাংলাদেশে রোবি নেটওয়ার্কের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পরিষেবা দেয়। এছাড়াও ছাড়াও দ্বীপ রাষ্ট্র চ্যানেল আইল্যান্ডে নেটওয়ার্ক রয়েছে এয়ারটেলের।