নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে যে সকল টেলিকম সংস্থা রয়েছে সেই সকল টেলিকম সংস্থার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা হল Airtel। এই মুহূর্তে দেশে প্রায় ৪০.৬ কোটি এয়ারটেল গ্রাহক রয়েছেন। তবে এই বিপুল সংখ্যক গ্রাহকদের চিন্তার দিন আসতে চলেছে, কেননা এই সংস্থার তরফ থেকে এবার তাদের ট্যারিফ রেট (Airtel Tariff Rate) বৃদ্ধি করা হতে পারে বলেই জানা যাচ্ছে।
দেশের বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা হিসাবে Airtel ট্যারিফ রেট বৃদ্ধি করলে বিপুল সংখ্যক গ্রাহকদের উপর তা প্রভাব ফেলবে। বিপুল সংখ্যক গ্রাহকদের পকেটে টান পড়বে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। ট্যারিফ রেট বৃদ্ধি করা হলেই এয়ারটেল গ্রাহকদের সস্তার দিন শেষ হয়ে যাবে তা নিয়েও কোন সন্দেহ নেই।
খুব তাড়াতাড়ি এয়ারটেলের ট্যারিফ রেট বৃদ্ধি পাবে তা নিয়ে বিভিন্ন সূত্র মারফৎ ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। শুধু বিভিন্ন সূত্র মারফৎ ইঙ্গিত মিলছে তা নয়, এর পাশাপাশি এই সংক্রান্ত ইঙ্গিত দিয়েছেন খোদ সংস্থার সিইও গোপাল ভিত্তল। তিনি রিচার্জ প্ল্যানের খরচ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেওয়ার পাশাপাশি কেন খরচ বাড়ানো হবে, সেই সংক্রান্ত যুক্তিও দিয়েছেন। আর সেই যুক্তি পেশ করার পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, আগামী দিনে মোবাইল খরচ বৃদ্ধি করা জরুরী।
গোপাল ভিত্তল যা দাবী করেছেন সেই দাবি অনুযায়ী, বর্তমানে এয়ারটেলের প্রতি গ্রাহক পিছু সংস্থার আয় অর্থাৎ ARPU রয়েছে প্রায় ২০০ টাকা। কিন্তু এই আয় যথেষ্ট নয়। এক্ষেত্রে সংস্থার গ্রাহক পিছু আয় হওয়া দরকার অন্ততপক্ষে ৩০০ টাকা। এমনকি তিনি এটাও দাবি করেছেন, যদি রেট বাড়িয়ে গ্রাহক পিছু আয় ৩০০ টাকাও করা হয় তাহলেও তা হবে বিশ্বের সবচেয়ে কম ARPU। তিনি দাবি করেছেন, সমস্ত সংস্থার ক্ষেত্রেই ট্যারিফে বড় বদল আনা প্রয়োজন।
২০২৩ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে এয়ারটেলের ARPU ছিল ১৯৩ টাকা। তবে ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে সেই ARPU ১৬ টাকা করে বেড়ে হয়েছে ২০৯ টাকা। এক্ষেত্রে সংস্থার ARPU বাড়লেও কিন্তু গ্রাহকদের রিচার্জ প্ল্যানের ক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন আনা হয়নি। কিন্তু যদি ARPU ৩০০ টাকার কাছাকাছি নিয়ে যেতে হয় তাহলে অবশ্যই রিচার্জ প্ল্যানের দাম বৃদ্ধি করতে হবে। দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বিভিন্ন সূত্রে যা জানা যাচ্ছে তাতে ভোট শেষ হয়ে যাওয়ার পরই এয়ারটেল সহ বেশ কিছু সংস্থা বড় পদক্ষেপ নিতে পারে। কেননা শেষবার ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে সংস্থার তরফ থেকে মোবাইল খরচ বৃদ্ধি করা হয়েছিল।