নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে গত শনিবার থেকে টানাপোড়েন চলছে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় দুজনেই নাছোড়বান্দা। একের পর এক পত্র দ্বন্দ্ব, তবে শেষমেষ এই লড়াইয়ে মোক্ষম চাল চাললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতেই রাজ্যে থেকে গেলেন আলাপন বাবু।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্য ছেড়ে অন্য রাজ্যে নিজের দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার জন্য চিঠি দেয় কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্য তাকে ছাড়তে নারাজ এবং ছাড়েও নি। এই চিঠির আদান-প্রদান চলে সোমবার বিকাল পর্যন্ত। রাজ্যের তরফ থেকে প্রথম দফায় আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়াদ তিন মাস বৃদ্ধির জন্য চিঠি দেওয়া হয় কেন্দ্রকে। প্রথম চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র তাতে সায় দেয়। তবে পরে পুনরায় বদলির নির্দেশ আসে। এরপরই তুঙ্গে হয় টানাপোড়েন।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই মুহূর্তে ছাড়া যাবে না এমনটা সোমবার চিঠি দিয়ে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিকালে কেন্দ্রের পাল্টা চিঠিতে অবিলম্বে তাকে কেন্দ্রের কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আর কেন্দ্রের এই চিঠির পরেই নাছোড়বান্দা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধরে রাখার জন্য মোক্ষম চাল চাললেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করলেন। অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যসচিব পদে বসানো হলো হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং স্বরাষ্ট্রসচিব পদে বসলেন বি পি গোপালিকা। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের পর আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের কর্মজীবনের মেয়াদ বৃদ্ধি না করে ৩১ তারিখ অবসর নিলেন এবং আগামীকাল থেকে তিনি তাঁর নতুন কর্মজীবন শুরু করছেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হিসাবে।