All banks including SBI were shocked by decision of RBI about Loan: সাধারণ মানুষের পক্ষে ঋণ পাওয়া আর সহজ থাকবে না RBI এর নয়া সিদ্ধান্তের কারণে (RBI Decision about Loan)। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক ঋণের উপর কড়া নিয়ম আরোপ করতে চলেছে। আরবিআই এর সিদ্ধান্ত অনুসারে, তারা কখনোই চায়না যে বিভিন্ন ব্যাংকগুলো ঋণ দেওয়ার সময় কোনরকম তাড়াহুড়ো করুক। ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করার জন্য ব্যাঙ্কগুলো অনেক উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ দিয়ে ফেলছে এবং সেই ঋণ আদায় করার সময় সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে এই সমস্যা থেকে? এই বিষয়ে কি বলছে RBI?
দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কগুলো বিভিন্ন ধরনের গ্রাহকদের ঋণ দিয়ে থাকে। যারা ক্ষুদ্র গ্রাহক তাদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খুচরো ঋণ দেওয়া হয়। আর গ্রাহকরা এইসব ক্ষেত্রে জামানত হিসেবে বাড়ি বা অন্য সম্পত্তি গ্যারান্টি হিসেবে রাখে। লোন পাবার পর শুরু হয় ইএমআই। শুধু যে খুচরো ঋণ আছে তা নয় সাথে থাকে একাধিক ধরনের ঋণ। এই ঋণগুলির মধ্যে রাস্তা, সেতু, বন্দর, বাঁধ, বিমানবন্দর, রেলপথ, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অন্য বড় অবকাঠামো প্রকল্প নির্মাণের জন্য বড় কর্পোরেশনগুলোকে ঋণ দেওয়া হতে পারে। এই ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রকল্পের মূল্যের ভিত্তিতে ঋণ পায়। এই ধরনের লোনের ক্ষেত্রেই প্রায় সময় সমস্যা দেখা দেয় এবং এই সমস্যা দূর করার জন্যই আরবিআই নয়া সিদ্ধান্ত (RBI Decision about Loan) নিয়েছে।
যখনই ব্যাংকগুলো এই ধরনের বড় প্রজেক্ট লোন দিয়ে থাকে দেখা দেয় একাধিক সমস্যা। বেশিরভাগ সময় ইনফ্রা প্রজেক্ট শেষ হতে সময় লেগে যায় আবার অনেক সময় বিশেষ কারণে প্রজেক্ট বাতিল হয়, কিংবা কাজ অর্ধেক হওয়ার পর তা স্থগিত হয়ে যায়। ব্যাংকগুলোকে এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই ঋণগুলো প্রজেক্ট ফাইন্যান্স লোন নামে পরিচিত। এসব বড় ধরনের লোনের ক্ষেত্রে প্রজেক্ট শেষ হয়ে কাজ শুরু হলেই লোন পরিশোধ শুরু হয়। প্রজেক্ট যদি থমকে যায় সমস্যা বাড়ে অনেকটাই।
আরও পড়ুন ? SBI New FD Rates: SBI গ্রাহকদের জন্য সুখবর, বাড়ল ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার, নতুন রেট জানাল ব্যাঙ্ক
বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে, ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের ক্ষেত্রে সর্বদাই বিপদ বাড়ে। তাই বড় প্রকল্পগুলির জন্য প্রদেয় লোনের 0.4 শতাংশ সংরক্ষণ করা হয়। সেই কারণেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) এই নিয়মর (RBI Decision about Loan) বদল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে বলা হচ্ছে, এই ব্যাঙ্কগুলোর এই লোনের পরিমাণ ৫ শতাংশ করা উচিত। আরবিআই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, যে সব ব্যাংক এই ধরনের ঋণ দিচ্ছে তারা যেন এইসব বিষয়গুলোতে আরো বেশি সতর্ক থাকে।
তবে RBI- এর এই সিদ্ধান্তে (RBI Decision about Loan) ক্রমশই উত্তেজনা বাড়ছে ব্যাঙ্কগুলোর মধ্যে। ব্যাংকের খরচ এর ফলে আগের থেকে অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। এরমধ্যেই দেখা গেছে যে বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি ব্যাঙ্কের শেয়ার প্রায় ৯ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছে। আবার ব্যাঙ্কের খরচ বেড়ে গেলে বিকল্প কিছুও করতে পারে। যার ফলে বৃদ্ধি হতে পারে ব্যাংকের সুদের হার।