নিজস্ব প্রতিবেদন : আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশে প্রতিটি গাড়ি চলবে বিদ্যুৎ অথবা সিএনজিতে। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নামতে লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে এই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বিতর্ক শুরু হলেও খোদ পশ্চিমবঙ্গের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম যা জানিয়েছেন তাতে স্পষ্ট কেন্দ্রের মতই তাদেরও লক্ষ্য একই।
পেট্রোল ডিজেলের মত জ্বালানির আমদানির ক্ষেত্রেই যে পরিমাণ খরচ বহন করতে হয় এবং পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রের মোদি সরকার এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই পরিকল্পনা গ্রহণ করার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের একাধিক মন্তব্যে বিতর্ক শুরু হয়। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পরে জানান, পেট্রোল ডিজেল গাড়ি একেবারে বাতিল হবে এমনটা নয়। তবে তারা বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার করা গাড়ির ব্যবহার বাড়ানোর পক্ষে।
ঠিক একইভাবে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে কলকাতায় চলবে শুধু বৈদ্যুতিক ও সিএনজি চালিত গাড়ি। ফিরহাদ হাকিমের এই মন্তব্য ঘিরে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে, তাহলে কি ২০৩০ সালের মধ্যে সমস্ত পেট্রোল ও ডিজেল চালিত গাড়ি কলকাতায় নিষিদ্ধ হতে চলেছে। নাকি কেবলমাত্র সরকারি যানবাহনের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে অবশ্য স্পষ্ট করে তিনি কিছু জানাননি।
বুধবার ফিরহাদ হাকিম বণিকসভা বেঙ্গল চেম্বারের এক অনলাইন সভায় বলেন, “আরও ১০০০টি সরকারি বৈদ্যুতিক বাস চলবে। ৩০০টি সরকারি বাসকে ডিজ়েল থেকে সিএনজি জ্বালানিতে বদল করা হচ্ছে। বেসরকারি ক্ষেত্রেও পর্যায়ক্রমে সেই পরিবর্তন হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে কলকাতায় বৈদ্যুতিক ও সিএনজি গাড়িই চলবে, দূষণ ছড়ায় এমন গাড়ি নয়। পার্কিং এলাকার ২% চার্জিং স্টেশন গড়ার জন্য সংরক্ষিত থাকবে।”
অন্যদিকে বর্তমানে ব্যাটারি চালিত গাড়ির চাহিদা দেশজুড়ে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। ইলেকট্রিক স্কুটার থেকে শুরু করে ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি দেশজুড়ে চার্জিং স্টেশন গড়তে ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে জোট বেঁধেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কনভার্জেন্স এনার্জি সার্ভিসেস।