নিজস্ব প্রতিবেদন : পথ নিরাপত্তা এবং যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে আনা হয়েছে মোটর ভেহিকেল সংশোধনী আইন। এই সংশোধনী আইন আনার পাশাপাশি একাধিক ক্ষেত্রে নানান পরিবর্তন আনার কথাও ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সেই রকমই একটি পরিবর্তন আসতে চলেছে আগামী অক্টোবর মাস থেকে।
জাতীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি সম্প্রতি রাজ্য সভায় বক্তব্য রাখার সময় এমনই বেশ কিছু ইঙ্গিত দিয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি জানিয়েছেন, ছোট হোক অথবা বড়, প্রতিটি গাড়ির ক্ষেত্রেই এবার থেকে ৬টি এয়ারব্যাগ থাকা বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে আগামী অক্টোবর মাস থেকে যেসকল গাড়ি তৈরি হবে সেই সকল গাড়ির ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ হিসেবে কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী রাজ্য সভায় বক্তব্য রাখার সময় দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরে মৃতের সংখ্যা জানান। তিনি জানান, ২০২০ সালে অন্তত ১৩,০২২ জন মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হত যদি গাড়িগুলিতে কার্যকরী এয়ারব্যাগ থাকত।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানান, চলতি বছর অক্টোবর মাসে যে সকল গাড়ি তৈরি হবে সেই সকল গাড়ির যেগুলিতে ৮ জন যাত্রী থাকবেন সেই সকল গাড়িতে ৬টি এয়ারব্যাগ থাকা বাধ্যতামূলক। এই বিষয়ে চলতি বছর জানুয়ারি মাসে একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছিল এমন এয়ারব্যাগ থাকা বাধ্যতামূলক।
খসড়াতে উল্লেখ করা হয়েছে, যে সকল গাড়ি এম১ ক্যাটেগরির মধ্যে পড়ে অর্থাৎ যাতে ৮ জন যাত্রী বসতে পারবেন এবং গাড়ির ওজন ৩.৫ টনের কম হবে। সেই ধরনের গাড়িতে ১ অক্টোবরের পর নির্মিত হলে সেখানে সামনের সিটে দুটো এয়ারব্যাগ এবং দুটো কার্টেন এয়ারব্যাগ থাকা আবশ্যিক।
অন্যদিকে এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী দিনে গাড়ির দাম বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ সামনের সিটের এয়ারব্যাগের খরচ ৫০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা। আর সাইডের অংশে এবং কার্টেন এয়ারব্যাগের খরচ এর প্রায় দ্বিগুণ অর্থাৎ ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা।