প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল রাজ্যের এই বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদন : মানুষের সুরক্ষার্থেই দীর্ঘায়িত করা হয়েছে লকডাউন। লকডাউনকে মেনে চলাই আবশ্যিক কর্তব্য। বারংবার প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হচ্ছে লকডাউনকে কখনোই হেলাফেলা করবেন না। লকডাউনকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করুন। কিন্তু কাকস্য পরিবেদনা! কে কার কথা শোনে! প্রশাসন নিজের মত করে বলে যাচ্ছেন এবং মানুষজন জিনিসটিকে জলভাতের মত সহজ করে নিয়েছেন। এই লকডাউন মেনে না চললে যে কী পরিণতি খারাপ হতে পারে সে সম্পর্কেও অসতর্ক ও অসচেতন মানুষের বিন্দুমাত্র ধারণা নেই।

অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রামিতদের সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রামিত হওয়ার ফলে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তবুও অসচেতন। নাগরিকদের বলে বলেও সতর্ক করা যাচ্ছে না। এমনকি বেশ কিছু এলাকা রেড জোন বলে জারি করে সরকার ইতিমধ্যেই সিল করে দিয়েছেন। রাজ্যের মধ্যে বেশ কয়েকটি জেলা করোনা হটস্পট এলাকা বলে ঘোষিত হয়েছে তবু মানুষজনের বাজার করার হিড়িক কমছে না। বাজার থেকে ছড়াতে পারে সংক্রমণ এটা জানার পরও বাজারে মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন না।

এমনটাই ঘটেছে শ্রীরামপুর পুরসভায়।
শ্রীরামপুর পৌরসভা এলাকায় তিনজন মানুষ করোনা সংক্রামিত হয়েছেন। তা সত্ত্বেও জণগণের হুঁশ ফিরছে না। এই পৌরসভা এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৮ টি বাজার রয়েছে। এই বাজারগুলিতে মানুষ ভিড় করে দাঁড়াচ্ছেন এমনকি মানছেন না লকডাউনের নিয়মও। গত ১৩ই এপ্রিল রাজ্য সরকার মাস্ক পরাকে আবশ্যিক বলে ঘোষণা করেন। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকাতে ছিলো যে মাস্ক না পড়লে বাজার, রেশন, মুদিখানা কোন কিছুই দেওয়া হবে না। এই কথাতে মানুষ মাস্ক পড়তে তো শুরু করলো কিন্তু বাজারে যাওয়ার সময় সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো বালাই নেই।

শ্রীরামপুর পুরসভার এলাকায় মানুষজন লকডাউনকে অগ্রাহ্য করে সামাজিক দূরত্ব না মেনে বাজার করছিলেন। প্রশাসন তাই শ্রীরামপুর পৌরসভা এলাকার সব বাজার বন্ধ করে দিল মানুষের স্বার্থেই। আজ বুধবার শ্রীরামপুরের মহকুমা শাসকের দফতরে শ্রীরামপুর পুরসভা এবং বাজার কমিটির যৌথ বৈঠক চলে। এরপরই সেই বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়।মানুষজন যদি এই পুরসভা এলাকায় লকডাউন না মানেন তাহলে সংক্রমণের সংখ্যা আরও বেড়ে যেত, তাই মানুষের মধ্যে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় তাই বাধ্য হয়ে প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

পৌরসভা মাইকিং করে প্রচার করেছেন যে কাউকেই আর বাজার করতে বেরোতে হবে না। বাড়ি বাড়ি ঘুরে সবজি বিক্রি করা হবে। কাউন্সিলর ও বাজার কমিটির লোকেরা ঠিক করবেন যে কারা কারা বাড়ি বাড়ি ঘুরে বিক্রি করতে যাবেন। এখন এই মুহূর্তে পৌরসভার থেকে কয়েকজন মানুষকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাজার দিয়ে আসবেন। তাই এখনও সচেতন হোন।বাজারে যাওয়ার সময় দূরত্ব মেনে চলুন নাহলে সমস্ত পরিকাঠামো ব্যবস্থাই ভেঙে যাবে হয়ত। হয়ত একদিন সকালে উঠে দেখবেন শ্রীরামপুরের ঘটনা ঘটছে আপনারই পাড়ায়। তাই সচেতন হোন ও সচেতনতা ছড়ান।