নিজস্ব প্রতিবেদন : বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন, করোনা চিকিৎসার জন্য কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে পুরোপুরি কোভিড হাসপাতাল হিসাবে ব্যবহার করার কথা। এরপর শনিবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আউটডোর পরিষেবা বন্ধ করার কথা ঘোষণা করে। দেশের প্রথম কোন সরকারি মেডিকেল কলেজে করোনা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাবতীয় আউটডোর পরিষেবা বন্ধ করা হল। আর কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইতিহাসে এমনটা ঘটলো ১২৫ বছর পর।
The facility at Medical College, Kolkata will start with 500 beds (for both COVID and SARI) which would be scaled up as per need, in phases. This will be the 68th dedicated COVID hospital of West Bengal. (2/2)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 6, 2020
এর আগেই ছিয়াত্তরের মন্বন্তর, প্লেগ ইত্যাদির মতো হাজারও পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে এই কলকাতা মেডিকেল কলেজ। তবে সেই গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের রেকর্ড ধরে রাখতে দিল না করোনা। ১২৫ বছরে এই প্রথম কলকাতা মেডিকেল কলেজের আউটডোর পরিষেবা বন্ধ হতে চলেছে। আগামী সোমবার থেকে সমস্ত রকম আউটডোর পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে হাসপাতালে তরফ থেকে। তবে আউটডোর পরিষেবা বন্ধ থাকলেও রোগীরা পাবেন অন্যান্য বেশকিছু পরিষেবা বা সুবিধা।
সোমবার থেকে আউটডোর পরিষেবা বন্ধ হওয়ার পর কি কি পরিষেবা চালু থাকবে কলকাতা মেডিকেল কলেজে?
কলকাতা মেডিকেল কলেজে সোমবার থেকে আউটডোর পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ রাখা হলেও পরিষেবা পাওয়া যাবে এইচআইভি নিয়ন্ত্রণের জন্য এআরটি সেন্টারে। অন্যান্য সাধারণ সময়ের মতোই খোলা থাকবে জরুরি বিভাগ। জরুরি বিভাগে কোন রোগীকে দেখার পর তাকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। পরিষেবা চালু থাকবে মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব ও রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজিতে।
রাজ্যে যেভাবে প্রতিনিয়ত করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শুরুতে ৩০০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। পরে স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে জানানো হয় ৫০০ টি বেড নিয়ে প্রাথমিকভাবে শুরু হবে করোনা রোগীদের চিকিৎসা। এখানকার আধুনিক ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দেওয়া হবে রোগীদের। পাশাপাশি এখানকার উন্নত মানের আইসিইউ, সিসিইউ ইত্যাদি ব্যবহার করা সম্ভব হবে। সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটারি সিন্ড্রোমে থাকা রোগীদের ভেন্টিলেটর সাপোর্ট অত্যন্ত জরুরি।