নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলা নববর্ষের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সকাল ১০ টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি জানান, আগামী ৩ রা মে পর্যন্ত দেশে লকডাউন জারি থাকবে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায়। পাশাপাশি তিনি জানান আগামী ৭ দিন আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ৭ দিন লকডাউনের ক্ষেত্রে আরও কড়াকড়ি করা হবে। আর তারপর ২০ তারিখের পর থেকে বেশ কিছু জায়গায় মিলতে পারে ছাড়।
আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই ঘোষণার পরেই ভারতে পুনরায় রেল চলাচল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার কথা জানিয়ে দিল রেল কর্তৃপক্ষ। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর লকডাউনের মেয়াদ ঘোষণার পরেই ভারতীয় রেল সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে জানিয়ে দিল আপাতত দেশে ৩রা মে পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে না।
বেশ কিছুদিন ধরেই একটি জল্পনা তৈরি হয়েছিল ১৪ই এপ্রিলের পর থেকে যাত্রীবাহী রেল চলাচল নিয়ে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছিল ১৪ তারিখের পর থেকে রেল চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে পারে। যার জন্য রেল কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। রেল চলাচল শুরু হওয়ার সম্ভাবনা ছিল রেড, ইয়েলো ও গ্রীন জোনে ভাগ করে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত খবরকে ভ্রান্ত বলে জানায় রেল কর্তৃপক্ষ। আর সেই নানা জল্পনারই অবসান ঘটলো এদিন। লকডাউন বাড়ার সাথে সাথে রেল চলাচলের ক্ষেত্রে লাগাম টানার মেয়াদও বাড়ানো হলো।
ভারতীয় রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রিমিয়াম ট্রেন, এক্সপ্রেস ট্রেন, প্যাসেঞ্জার ট্রেন, সাবার্বান ট্রেন, কলকাতা মেট্রো, কঙ্কান রেলওয়ে সহ প্রতিটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন আপাতত ৩রা মে পর্যন্ত বাতিল করা হল।
All passenger train services on Indian Railways including Premium trains, Mail/Express trains, Passenger trains, Suburban Trains, Kolkata Metro Rail, Konkan Railway etc shall continue to remain suspended till the 2400 hrs of 3rd May: Ministry of Railways https://t.co/SZ7mUugP9B
— ANI (@ANI) April 14, 2020
প্রসঙ্গত, ভারতে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করার পর ২২ শে মার্চ অর্থাৎ জনতা কারফিউয়ের দিন থেকেই একের পর এক রেল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে। ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের শৃংখল ভেঙ্গে দেওয়ার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কেবলমাত্র অত্যাবশ্যকীয় ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যোগান বজায় রাখতে মালবাহী নির্দিষ্ট কিছু ট্রেন চালু রাখা হয় ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে।