Bullet Train: রকেটের গতিই শেষ কথা নয়, বুলেট ট্রেনে জুড়তে চলেছে এই সকল অত্যাধুনিক প্রযুক্তিও

Prosun Kanti Das

Published on:

All these advanced technologies are also going to be connected with the bullet train in India: উচ্চগতির ট্রেন গুলির ক্ষেত্রে ট্রেনটির ন্যূনতম গতিবেগ হয় ২৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। যদি পুরনো ট্রাকে চলে তাহলে সেই ট্রেনটির গতিবেগ হবে নূন্যতম ২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। এই গতি সম্পন্ন ট্রেনগুলিকেই বলা হয় উচ্চগতির ট্রেন। বিশ্বে প্রথম উচ্চগতির ট্রেন চালু করা হয় ১৯৬৮ সালে। এই ট্রেন চালু করে জাপান। যা বুলেট ট্রেন (Bullet Train) নামে পরিচিত। বুলেট ট্রেনের বর্তমান গতিবেগ ন্যূনতম ৩২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। পৃথিবীর একাধিক দেশ নিজেদের দেশের বড় শহরগুলির সাথে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য এই উচ্চগতির ট্রেন চালু করেছে। এইবার ভারত ও সেই তালিকায় নাম লেখাতে প্রস্তুত।

ভারতীয় রেল পরিষেবা একের পর এক ইতিহাস গড়েই চলেছে। মেট্রোরেল হোক বা সাধারণ রেল ইতিহাস গড়তে উদ্যোগী ২ পক্ষই। অন্যান্য পরিবহন ব্যবস্থাগুলির মধ্যে দ্রুতগতির পরিবহন ব্যবস্থা হিসেবে গণ্য করা হয় রেল পরিষেবাকে। সেখানেই যুক্ত হলো উচ্চগতির ট্রেন বুলেট। ভারতে বুলেট ট্রেন (Bullet Train) চালু করার বিষয়ে জাপান সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা তারপরেই ভারতেও চালু করা হবে বুলেট ট্রেন। কাজ শেষ হতে এখনো কয়েক বছর সময় লাগবে। খুব শীঘ্রই জাপান, চীন, ফ্রান্স, জার্মান ইত্যাদি দেশগুলির মত ভারতেও চলবে বুলেট ট্রেন।

ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নতুন সরকার গঠনের পর বুলেট ট্রেন (Bullet Train) সম্পর্কিত বেশ কিছু আপডেট দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে বুলেট ট্রেনের জন্য উপযুক্ত রেললাইন পাতার কাজ চলছে। জমি অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে, এখন ট্রাক তৈরি করার কাজ চলছে। তবে ২০২৬ সালের মধ্যে সমস্ত কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে রেলমন্ত্রী। অর্থাৎ আর মাত্র ২ বছরের মধ্যে ভারতে বুলেট ট্রেন চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধুমাত্র গতি বুলেট ট্রেনের বৈশিষ্ট্য নয়, রয়েছে আরও বেশ কিছু প্রযুক্তি।

আরও পড়ুন 👉 Discount on EV: গাড়ি কেনার স্বপ্ন পূরণ হবে আরো সহজে, স্কুটি থেকে চারচাকার দাম কমাতে নয়া পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র

শুধুমাত্র দ্রুতগতির ট্রেন চালু করলেই তো হবে না, যাত্রী সুরক্ষার দিকটাও চিন্তা করতে হবে। সেই জন্য বুলেট ট্রেনে (Bullet Train) বেশ কিছু আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। রেলমন্ত্রীর দেওয়া আপডেট অনুযায়ী, যাত্রী সুরক্ষার কথা চিন্তা করে বুলেট ট্রেনে বসানো হয়েছে অটোমেটেড রেইনফল মনিটরিং সিস্টেম। বর্তমান রেলমন্ত্রী তার সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্সের ব্যক্তিগত হ্যান্ডেলে পোষ্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন বুলেট ট্রেন সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য। তাতেই উঠে এসেছে মনিটরিং সিস্টেম সহ অন্যান্য প্রযুক্তির কথা।

অটোমেটেড রেইনফল মনিটারিং সিস্টেমে রেইন গজ ব্যবহার করা হয়। এই গজগুলি আগে থেকে বৃষ্টিপাতের প্রতিমুহূর্তের আপডেট পেতে সাহায্য করে। এছাড়াও বুলেট ট্রেনে বসানো হয়েছে অ্যাডভান্সড ইন্সট্রুমেন্টেশন সিস্টেম। এটি যাত্রা পথে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত যুক্ত এলাকায় বুলেট ট্রেনটির গতিবেগ কমাতে সহায়তা করবে। বুলেট ট্রেনের মধ্যেই যুক্ত করা থাকবে ট্র্যাক মেইন্টেনেন্স সেন্টারও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন চালু করা হবে আমেদাবাদ থেকে মুম্বাই পর্যন্ত। প্রায় ৫০৮ কিলোমিটার রেলপথ তৈরি করা হচ্ছে এই কাজের জন্য। ভারতেও বুলেট ট্রেনের (Bullet Train) গতিবেগ থাকবে ন্যূনতম ৩২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। সম্পূর্ণ রেলপথটিতে মোট ১২ টি স্টেশন রাখার কথা জানানো হয়েছে।