নিজস্ব প্রতিবেদন : বিধানসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ লক্ষ টাকার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৩০ জুন এই পরিষেবা চালু হয়। এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে কি কি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে তা জেনে নেওয়া যাক খুঁটিনাটি ভাবে।
১) রাজ্য সরকারের এই নতুন প্রকল্পের নাম স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। এই ক্রেডিট কার্ডে পড়ুয়ারা উচ্চশিক্ষার জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বল্পসুদে ঋণ পাবেন। সুদের হার মাত্র ৪%। সুদ হিসাব করা হবে সরল সুদ পদ্ধতিতে। এই ঋণ নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থী এবং তার অভিভাবকদের ব্যাঙ্কের সাথে আইনানুগ চুক্তিতে আবদ্ধ হতে হবে।
২) স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করার জন্য কোনরকম গ্যারান্টার প্রয়োজন হবে না। এক্ষেত্রে গ্যারান্টার হবে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ এই ঋণ নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ পড়ুয়া অথবা তার অভিভাবককে স্থাবর অস্থাবর কোনরকম সিকিউরিটির জন্য চাপ দিতে পারবে না।
৩) এই ঋণ পাওয়া যাবে যে সকল ব্যাঙ্কগুলি থেকে সেগুলি হল যে কোন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, বেসরকারি ব্যাঙ্ক, কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক এবং আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক।
৪) এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন সেই সকল পরীক্ষার্থীরা যারা মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, উচ্চ শিক্ষা, পেশাদার শিক্ষায় দেশে-বিদেশে যেকোনো জায়গায় পড়াশোনার জন্য। এছাড়াও ঋণ নেওয়া যাবে প্রতিযোগিতামূলক কোচিং সেন্টারে কোচিং নেওয়ার জন্য।
৫) ঋণ নেওয়া পড়ুয়া বা পরীক্ষার্থীর সর্বোচ্চ বয়সসীমা হতে হবে ৪০ বছর। অর্থাৎ মাধ্যমিক থেকে শুরু করে ৪০ বছর পর্যন্ত যেকোনো পড়ুয়া এই ঋণ নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
৬) ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে যিনি অর্থাৎ যে পড়ুয়া ঋণ নিতে চান তাকে অন্ততপক্ষে ১০ বছর পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
৭) ঋণ শোধ করার জন্য সময়সীমা পাওয়া যাবে ১৫ বছর। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ শোধ করলে কোনরকম পেনাল্টি অথবা প্রসেসিং চার্জ দাবি করতে পারবে না ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি যদি কোন ঋণগ্রহীতা নির্ধারিত শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই তার ঋণ শোধ করে দেন তাহলে তিনি ১ শতাংশ ছাড় পাবেন।
৮) এই ঋণের টাকা খরচ করা যাবে ছাত্রাবাস কিংবা ছাত্রাবাসের বাইরে বসবাসের খরচ, পেইং গেস্টে থাকার খরচ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খরচ, বই কম্পিউটার ল্যাপটপ ট্যাবলেট ইত্যাদি কেনার জন্য। এছাড়াও খরচ করা যাবে শিক্ষামূলক ভ্রমণ, প্রজেক্ট থিসিস ইত্যাদি ক্ষেত্রে।