নিজস্ব প্রতিবেদন : আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে রাজ্যের প্রতিটি বাসিন্দাদের জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করে। ভোটের আগে এই প্রকল্পকে রাজ্যের শাসকদলের মোক্ষম চাল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৬৬ লক্ষ মানুষ তাদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। নাম নথিভুক্ত করার পাশাপাশি নাগরিকদের মধ্যে বেশ কিছু প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে কিভাবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে মিলবে চিকিৎসা এবং ওষুধের খরচ?
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প অথবা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে এই প্রকল্পের আওতায় থাকা ব্যক্তির চিকিৎসা খরচ এবং ওষুধের খরচ পাওয়ার জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি বা নিয়ম রয়েছে। যেগুলি এই প্রকল্পের আওতায় থাকা চিকিৎসারত ব্যক্তিকে অথবা তার পরিবারের সদস্যদের অনুসরণ করতে হবে।
পদ্ধতি বা নিয়ম
১) স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় থাকা চিকিৎসারত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় জানিয়ে রাখতে হবে তিনি স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতাধীন। পাশাপাশি এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ২৪ ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালে জমা দিতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে জমা দিতে না পারলেও কোন ক্ষতি নেই।
২) কোন কোন হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা রয়েছে তা জানার জন্য স্বাস্থ্যসাথী মোবাইল অ্যাপ অথবা স্বাস্থ্যসাথী ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে। জানার জন্য ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপের মধ্যে থাকা ‘অ্যাক্টিভ হসপিটাল’ বিভাগ দেখে নিতে হবে। সরকার নির্ধারিত সরকারি অথবা বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে এই কার্ডের সুবিধা পাওয়া যাবে।
৩) স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা থাকা হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা করানোর জন্য প্রকল্পের আওতাধীন রোগীকে কোনরকম নগদ টাকা দিতে হবে না। সমস্ত খরচ নেওয়া হবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে এই প্রকল্পে একজন উপভোক্তা ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ পাবেন। চিকিৎসার জন্য এই টাকার মধ্যেই রয়েছে ওষুধের খরচও।
৪) ওষুধ উপলব্ধ করা হাসপাতালে দায়িত্ব এখন কোন ওষুধ যদি নেহাতই বাইরে থেকে কিনতে হয় তাহলে ওই ওষুধের রশিদ জমা দিতে হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
৫) এই প্রকল্পে চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য খরচ দেওয়া হয়ে থাকে। খরচ দেওয়া হয়ে থাকে ২০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত।
৬) স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতাধীন কোন ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এলে ওই ব্যক্তির পরিবারের যে কোনো সদস্যের আঙ্গুলের ছাপ চিকিৎসা পাওয়ার জন্য যথেষ্ট।
৭) চিকিৎসা করানোর সময় যদি স্মার্ট কার্ড কাজ না করে সেক্ষেত্রে ইনস্যুরেন্স সংস্থা এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই সমস্যার সমাধান করবে। পাশাপাশি প্রয়োজন পড়লে উপভোক্তা স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের টোল-ফ্রি নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারেন।
৮) এই প্রকল্পের আওতায় থাকা কোন ব্যক্তি হাসপাতলে ভর্তি না হলে চিকিৎসা অথবা ওষুধ কোন কিছুর জন্য কোন খরচ পাবেন না।
৯) চিকিৎসা হয়ে যাওয়ার পর হাসপাতালে ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে উল্লেখ করে দেওয়া হবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে কত টাকা কাটা হয়েছে এবং কত টাকা এখনো মজুদ রয়েছে। এছাড়াও এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে স্বাস্থ্যসাথী ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপে। যেখানে উপভোক্তাকে তার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের URN নম্বর দিয়ে দেখে নিতে হবে। সমস্যা হলে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০৩৪৫৫৩৮৪ এ ফোন করে তথ্য পাওয়া যেতে পারে।