নিজস্ব প্রতিবেদন : বলিউডের উঠতি তারকা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু হয় জুন মাসের ১৪ তারিখ। কিন্তু মাসের পর মাস পেরিয়ে গেলেও এই মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো অধরা। মুম্বই পুলিশের তদন্তে খুশি না হয়ে দেশের সুশান্ত অনুরাগী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতারা, সেলিব্রেটিরা প্রথম থেকেই তার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের জন্য সিবিআই তদন্তের দাবি করছিলেন। যদিও প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও দু মাস পেরিয়ে যাবার পর অবশেষে এই ঘটনায় তদন্তের ভার বর্তায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের হাতে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত হয় স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। আর এই ইনভেস্টিগেশন টিমের নেতৃত্ব দেবেন দেশের বরিষ্ঠ আইপিএস অফিসার মনোজ শশীধর।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্তে আইপিএস অফিসার ছাড়াও রয়েছেন ডিআইজি গগনদীপ গম্ভীর, এসপি নূপুর প্রসাদ এবং ডিএসপি অনিল কুমার যাদব। ইতিমধ্যেই এই ইনভেস্টিগেশন টিমের সদস্যরা দিল্লি থেকে মুম্বাই এসেছেন গুরুত্বপূর্ণ এই রহস্যের সমাধান করার জন্য। আর তদন্ত শুরু হতে উঠে আসছে সুশান্তের চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ঠিক রিয়া চক্রবর্তী এবং তার ভাই সৌভিক চক্রবর্তীর অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফারের মতো ঘটনা।
চলুন দেখে নেওয়া যাক বরিষ্ঠ সিবিআই অফিসার মনোজ শশীধরের পরিচয়
গুজরাট ক্যাডারের ১৯৯৪ ব্যাচের একজন আইপিএস অফিসার হলেন মনোজ শশীধর। গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি একজন সিবিআই অফিসার হিসাবে নিযুক্ত রয়েছেন। বর্তমানে তিনি সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর। তার এই পদে নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিলমোহর দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অ্যাপয়েন্টমেন্টস কমিটি। যে কমিটিতে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল সিবিআইয়ে নিযুক্ত হওয়ার আগে গুজরাতের পাঁচটি জেলার এসপির পদ সামলেছেন। এছাড়াও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সামলেছেন এই বরিষ্ঠ আইপিএস অফিসার। তিনি একজন সিবিআই অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হয়ে দায়িত্ব সামলানোর আগে সামলেছেন ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর প্রাক্তন অ্যাডিশনাল ডিজি, ভডোদরার পুলিশ কমিশনার ও আমদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডিসিপির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ।
আইপিএস অফিসার মনোজ শশীধর দেশের একজন সৎ এবং নির্ভীক অফিসার হিসাবে পরিচিত। যে কারণে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে নামে এই সকল পুলিশ অফিসারদের দিকে তাকিয়ে দেশের কোটি কোটি সুশান্ত অনুরাগীরা।