নিজস্ব প্রতিবেদন : কোয়েম্বাটোরের সুলুর এয়ারবেস থেকে ওয়েলিংটন যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়লো সেনাবাহিনীর অভিশপ্ত চপার (army mi-17 copter)। কুন্নুরের এই কপ্টার দুর্ঘটনায় প্রান হারান করে থাকার ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জন। প্রাণ হারান দেশের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াত এবং তার স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত।
বিপিন রাওয়াত-এর সাহসিকতা এবং বীরত্বের কাহিনী ভারতীয় নাগরিকদের কাছে অজানা কিছু নয়। তার একাধিক বীরত্ব তাকে এনে দিয়েছে একের পর এক সম্মান। পোশাকে লেগেছে নতুন নতুন বীরত্বের পালক। এমন বীর সন্তানের প্রয়াণে স্বাভাবিকভাবেই স্তব্ধ গোটা দেশ।
এর পাশাপাশি বিপিন রাওয়াত-এর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত-এর প্রয়াণে স্বজনহারা হয়ে পড়লেন ভারতের শহীদ জাওয়ানদের স্ত্রীরা। কেন জানেন? কারণ এই মধুলিকা রাওয়াত সেই সমস্ত নারীদের পাশে সব সময় হাসিমুখে থেকেছেন যাদের স্বামীরা যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ হারিয়েছেন। যুদ্ধক্ষেত্রে স্বামী হারানোদের পাশে থেকে মধুলিকা রাওয়াত সবসময় তাদের স্বনির্ভর এবং উন্নতির দিকে নজর দিয়েছেন।
বিপিন রাওয়াত যেমন দেশের জন্য একের পর এক সাহসিকতা দেখিয়ে এমন উচ্চতার শিখরে পৌঁছে ছিলেন, ঠিক তেমনই তার স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত সবসময়ই শহীদ জাওয়ানদের স্ত্রীদের পাশে থেকে দেশের অন্যতম সমাজসেবী হিসাবে পরিগণিত হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এমন একজন নারীর প্রয়াণে শহীদ জাওয়ানদের স্ত্রীদের কাছে প্রিয়জন বিয়োগতুল্য হয়ে উঠেছে।
চার প্রজন্ম ধরে রাওয়াত পরিবার দেশের হয়ে কাজ করে আসছে। সেই ঘরানায় বজায় রেখেছিলেন মধুলিকা রাওয়াত। স্বামী বিপিন রাওয়াত যখন দেশের হয়ে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেই সময় একদা মনস্তত্ত্বে স্নাতক মধুলিকা রাওয়াত নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন সমাজের কল্যাণে। তার কাজের পদ্ধতি আলাদা থাকলেও দেশ এবং সেনাদের স্বার্থেই তিনি আজীবন কাজ করে গিয়েছেন।
এর পাশাপাশি মধুলিকা রাওয়াত ক্যান্সার রোগীদের জন্য কাজ করেছেন। সমাজসেবামূলক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে তার ভূমিকা অতুলনীয়।