নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও প্রতিদিন করোনা সংক্রামিত ব্যক্তিদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। একইভাবে সংক্রামিত ব্যক্তিদের সংখ্যা বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গেও। এমত অবস্থায় দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা হলেও দিনের পর দিন সংখ্যা বাড়াটা প্রশাসনের কাছে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিভাবে এই সংক্রমণ ঠেকানো যায় তা নিয়েই ২৪ ঘন্টা চিন্তাভাবনা চালাচ্ছেন কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারি আমলারা। করোনা সংক্রামিত ব্যক্তিদের চিকিৎসাকে আরও ত্বরান্বিত করে তোলার জন্য দেশে বিভিন্ন জায়গায় গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন নতুন করোনা হাসপাতাল। আমাদের রাজ্যে চলছে আইসোলেশন ওয়ার্ড, বেড, নতুন করোনা চিকিৎসার বন্দোবস্ত। পশ্চিমবঙ্গের কোন কোন জেলায় কোন চিকিৎসা করা হচ্ছে তা আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন।
পশ্চিমবঙ্গের যে সকল জেলায় করোনা সংক্রমণের চিকিৎসা করা হচ্ছে সেগুলি হল
কলকাতায় সরকারি হাসপাতালের ভিত্তিতে মোট আইসোলেশন শয্যা হলো ২৪১ টি। যাদের মধ্যে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে রয়েছে ৩৫ টি, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে ১৮ টি, ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে রয়েছে ২ টি, মেডিকেল কলেজে রয়েছে ২৪ টি, আরজিকরে রয়েছে ১২ টি, এমআরবাঙ্গুরে ১৫০টি।
হাওড়ায় সরকারি হাসপাতালে মোট আইসোলেশন শয্যা সংখ্যা হলো ১৮ টি। যার মধ্যে হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতালে রয়েছে ৪টি, উলুবেরিয়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রয়েছে ৪টি, সত্যবালা দেবী আইডি হাসপাতালে ১০টি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সরকারি হাসপাতালে মোট আইসোলেশন বেডের সংখ্যা হল ৩১। যাদের মধ্যে বারুইপুর এসডিএইচতে ৪টি, সোনারপুর আর এইচতে ১৭টি, বিজয়গড় এসজিএইচ তে ২টি, বিদ্যাসাগর এসজিএইচতে ৮টি।
উত্তর ২৪ পরগনার সরকারি হাসপাতালে মোট আইসোলেশন বেডের সংখ্যা হলো ৩২ টি। বসিরহাট ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতাল ছাড়াও জেলার মোট ১২ টি হাসপাতালেই আইসোলেশন শয্যাগুলি রয়েছে।
আলিপুরদুয়ারে মোট আইসোলেশন বেডের সংখ্যা হল ৪০। যার মধ্যে আলিপুরদুয়ার ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতালে রয়েছে ১০টি ও বাকি ৩০ টি রয়েছে ফালাকাটা এসএসএইচ হাসপাতালে।
বাঁকুড়ায় মোট আইসোলেশন বেডের সংখ্যা হল ২০ টি। যার মধ্যে বাঁকুড়া সম্মেলনী এনসিএইচ হাসপাতালে রয়েছে ১৫ টি ও বাকি ৫ টি রয়েছে বিষ্ণুপুর ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতালে।
বীরভূমে মোট আইসোলেশন বেডের সংখ্যা হল ৪২ টি। যার মধ্যে সিউড়ি সদর হাসপাতালে রয়েছে ২৪ টি, বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে রয়েছে ১০ টি, রামপুরহাট মেডিকেল কলেজের রয়েছে ৮ টি। এছাড়াও আরও ১৫০ টি আইসোলেশন বেডের বন্দোবস্ত শুরু হয়ে গেছে প্রশাসনিক তৎপরতায়।
পুরুলিয়া দুটি হাসপাতালে রয়েছে আটটি আইসোলেশন ৮ টি বেড।
কোচবিহার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতলে ৮ টি আইসোলেশন বেড রয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুরে মোট আইসোলেশন বেডের সংখ্যা হল ৫৯। যার মধ্যে বালুরঘাট ডিএইচতে রয়েছে ২৫ টি ও গঙ্গারাম এসডি হাসপাতালে রয়েছে ৩৪ টি।
মালদায় মোট আইসোলেশন বেডের সংখ্যা ৫০ টি। যেগুলি প্রত্যেকটি রয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজে।
মুর্শিদাবাদে মোট আইসোলেশন বেডের সংখ্যা ১০ টি।
নদীয়া জেলায় মোট আইসোলেশন বেডের সংখ্যা হল ৪৯। যার মধ্যে নদীয়া জেলা হাসপাতালে রয়েছে ১২ টি, রানাঘাট এসডি এইচে রয়েছে ১৮ টি আর বাকিগুলি রয়েছে জেলার অন্যান্য সরকারি হাসপাতালগুলিতে।
পশ্চিম বর্ধমানের মোট আইসোলেশন বেডের সংখ্যা ৩০। ২৪ টি রয়েছে আসানসোল জেলা হাসপাতালে। আর বাকিগুলি রয়েছে দুর্গাপুর জেলা হাসপাতালে।
পূর্ব বর্ধমানে ৮৪ টি আইসোলেশন বেড রয়েছে। যেগুলি রয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে ৪০ টি, কাটোয়া এসডিএইচে ২০ টি ও কালনা এইচডিএইচে ২৪ টি।
মেদিনীপুরের মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে আইসোলেশন বেড রয়েছে ১০ টি, পাশাপাশি পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল মিলে রয়েছে ৬৫ টি আইসোলেশন বেড। নন্দীগ্রাম এসডিএইচে আইসোলেশন বেড রয়েছে ৪০ টি, কাঁথি ও দীঘা সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন বেড রয়েছে ৮ টি। মোটের উপর গোটা রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১৩২৭ টি আইসোলেশন বেড রয়েছে।
বেসরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড : সল্টলেকের আইএলএস হাসপাতালে ৫ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন ওয়ার্ড রয়েছে। এখানে ভেন্টিলিটার যুক্ত ঘর ও শয্যা রয়েছে ৪ টি।
দমদমের আইএলএস হাসপাতালে ৭ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন ওয়ার্ড রয়েছে। ভেন্টিলেটর যুক্ত ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা ৯ টি।
হাওড়ার আইএলএস হাসপাতালে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ৪ টি। ভেন্টিলেটর যুক্ত আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ৭ টি।
অ্যাপোলো গ্লেনিগেলস হাসপাতালে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১৪ টি, বিশেষ পরিষেবা যুক্ত আইসোলেশনের শয্যা রয়েছে ৮ টি।
ফর্টিশ হাসপাতালে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ২৭ টি।
আর এন টেগর ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিয়াক সায়েন্সে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ৫ টি।
মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১২ টি। ভেন্টিলেশন যুক্ত আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ৭ টি।
আমরি হাসপাতালের ঢাকুরিয়া, মুকুন্দপুর, সল্টলেক প্রতিটি শাখা মিলিয়ে মোট আইসোলেশন শয্যার সংখ্যা ১৬ শয্যা। ভেন্টিলেশন আইসোলেশন শয্যার সংখ্যা ৪টি।
পিয়ারলেস হাসপাতালে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ৮ টি। ভেন্টিলেশন আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ২ টি।
রুবি জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ২ টি।
করোনা সংক্রমণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা : পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমনের পরীক্ষা করা হচ্ছে কলকাতার বেলেঘাটা আইডি অন্তর্ভুক্ত নাইসেড, এসএসকেএম হাসপাতালে। এছাড়াও পরীক্ষা হচ্ছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজে। বেসরকারী হাসপাতাল বলতে অ্যাপোলো গ্লেনিগেলস হাসপাতালে করোনা সংক্রমনের পরীক্ষা করা হচ্ছে।