নিজস্ব প্রতিবেদন : আগামী ২৪ জুলাই শেষ হচ্ছে বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের মেয়াদ। তার এই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি এবং বিরোধী দলগুলি তাদের রাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে উঠে পড়ে লাগে।
এই তোড়জোড়ের মধ্যেই মঙ্গলবার বিরোধী দলগুলির তরফ থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় যশবন্ত সিনহার। অন্যদিকে বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরই শাসক দল বিজেপি তাদের এনডিএ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম হিসাবে ঘোষণা করে ধ্রুপদী মুর্মুর নাম। সমস্ত হিসাব নিকাশ যদি ঠিক থাকে তাহলে এই দ্রৌপদী মুর্মুই হতে চলেছেন দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি এবং তিনি হবেন প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি।
দ্রৌপদী মুর্মু ১৯৫৮ সালের ২০ জুন উড়িষ্যায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ওড়িশা সরকারের জলসম্পদ ও শক্তি দফতরে জুনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট হিসাবে কাজ করেন তিনি। ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত শ্রী অরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন সেন্টার সাম্মানিক শিক্ষকও ছিলেন।
দ্রৌপদী মুর্মু রাজনীতিতে পা দিয়েছিলেন একজন কাউন্সিলর হিসেবে। পরবর্তীকালে তিনি রায় রংপুর উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন হন। দ্রৌপদী মূর্মু দুবার বিধায়ক থাকার পাশাপাশি বিজু জনতা দল তথা নবীন পট্টনায়কের মন্ত্রিসভার মন্ত্রীও ছিলেন।
ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার রায় রংপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে ২০০০ এবং ২০০৪ সালে জয়লাভ করার পাশাপাশি বিজেডি এবং বিজেপি জোট সরকার থাকাকালীন তিনি পরিবহণ, মৎস্য এবং পশুপালন দফতরের দায়িত্ব সামলেছিলেন। এরই মধ্যে ২০০৭ সালে তিনি সেরা বিধায়ক নির্বাচিত হন। এর পাশাপাশি তিনি ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ছিলেন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল।
