নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাকালে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। এই আমূল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় মূলত বাড়িতে বসেই পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে। বর্তমানে বাড়িতে বসেই অনলাইনে অর্ডার মারফত খাবার থেকে সাজ পোশাক এবং অন্যান্য সামগ্রীর চাহিদা বেড়েছে। ঠিক একইভাবে বাড়িতে বসেই চিকিৎসা করানোর প্রতিও মানুষের ঝোঁক বেড়েছে। এই জায়গায় মোক্ষম অস্ত্র হলো কেন্দ্রের ‘ই-সঞ্জীবনী’।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে সম্প্রতি দাবি করা হয়েছে, গত এক বছরে দেশের ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ কেন্দ্রের এই প্রকল্পের পরিষেবা নিয়েছেন। দেখতে দেখতে এই প্রকল্প দেশের জনপ্রিয় এবং বৃহত্তম টেলিমেডিসিন প্রকল্পে পরিণত হয়েছে। রোজ এই প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রায় ৯০ হাজার মানুষ চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের জাতীয় টেলিমেডিসিন পরিষেবা ই-সঞ্জীবনী মূলত দুটি পদ্ধতিতে কাজ করে। একটি হল ই-সঞ্জীবনী আয়ুষ্মান ভারত রোগী কল্যাণ কেন্দ্র। অপরটি সঞ্জীবনী ওপিডি। প্রথম অর্থাৎ ই-সঞ্জীবনী আয়ুষ্মান ভারত রোগী কল্যাণ কেন্দ্র পরিষেবা দেওয়া হয়ে থাকে আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণকেন্দ্রগুলিতে। এই পরিষেবা প্রথম চালু হয় অন্ধ্রপ্রদেশে এবং পরবর্তীকালে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বর্তমানে এর দুই হাজারের বেশি হাব রয়েছে।
অন্যদিকে সঞ্জীবনী ওপিডি পরিষেবার মাধ্যমে নাগরিকরা করোনা এবং করোনা বহির্ভূত বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিষেবা পেয়ে থাকেন। এই পরিষেবা চালু হয় গত বছর ১৩ এপ্রিল থেকে। এই পরিষেবার মাধ্যমে বিভিন্ন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষ টেলিমেডিসিন পরিষেবা পেয়েছেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
এই পরিষেবার জন্য রোগীদের আগে থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করার জন্য যেতে হবে https://esanjeevaniopd.in/Home ওয়েবসাইটে। সেখানে থাকা ‘Patient Registration’ বিকল্পে ক্লিক করে নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
রেজিস্ট্রেশন করার সময় বেছে নিতে হবে নিজের রাজ্য এবং ‘General OPD অথবা ‘Speciality OPD’। এক্ষেত্রে যার যেমনটা প্রয়োজন তা বেছে নিতে হবে। এরপর ‘Send OTP’ অপশনে ক্লিক করতে হবে এবং একটি OTP দেওয়া হবে আপনার মোবাইল নম্বরে। সেই OTP নির্দিষ্ট জায়গায় দেওয়ার পর Submit করতে হবে এবং পরবর্তী পর্যায়ে নাম, ঠিকানা, লিঙ্গ, বয়স এবং হেলথ রেকর্ড আপলোড করতে হবে। তারপর তৈরি হয়ে যাবে পেশেন্ট আইডি এবং টোকেন।