নিজস্ব প্রতিবেদন : সিমকার্ড হলো স্মার্টফোনের হৃৎপিণ্ড। আর এই সিমকার্ডের ক্ষেত্রে আমরা বারংবার বৈপ্লবিক পরিবর্তন দেখেছি। একটা সময় যখন ভারতে প্রথম মোবাইল পরিষেবা শুরু হয় তখন সিম কার্ডের সাইজ ছিল বেশ বড়। পরবর্তীকালে সেই সিম কার্ড পরিবর্তিত হয়ে রূপ নেয় মাইক্রো এবং করে ন্যানো। আর বর্তমানে আগামী দিনে আসতে চলেছে ‘e-Sim’।
‘e-Sim’ (Embedded Subscriber Identity Module) কি?
নতুন প্রযুক্তির ‘e-Sim’-এর জন্য ব্যবহারকারীদের কোনরকম বাহ্যিক সিম নিতে হবে না। অর্থাৎ আগামী দিনে ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোনে যদি ‘e-Sim’ সাপোর্ট করে তাহলে কোন প্রকার সিমকার্ড নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই ‘e-Sim’ সরাসরি ব্যবহারকারীরা তাদের স্মার্টফোনে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। ইতিমধ্যেই এই নতুন প্রযুক্তির সিমের পরিষেবা দিতে শুরু করেছে Jio, Vi এবং Airtel-এর টেলিকম সংস্থাগুলি।
‘e-Sim’ এর সুবিধা
প্রথমেই বলে রাখা দরকার এই নতুন প্রযুক্তির ‘e-Sim’ বর্তমানে হাতেগোনা কিছু স্মার্টফোনে সাপোর্ট করে। তবে ভবিষ্যতে এই ‘e-Sim’-ই বহুল প্রচলিত হবে তা অনস্বীকার্য, উদাহরন হিসাবে আমরা মাইক্রো এবং ন্যানো সিম। কারণ এই সকল সিমকার্ডগুলিও প্রথম প্রথম কিছু সংখ্যক স্মার্টফোনের সাপোর্ট করলেও পরবর্তী কালে দেখা গিয়েছে সমস্ত ফোনেই নতুন প্রযুক্তি চলে আসতে।
‘e-Sim’-এর সুবিধা, এর জন্য গ্রাহকদের আলাদা করে ডিভাইসে সিম ভরতে হবে না।
‘e-Sim’ থাকলে সিম হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও নেই।
এর পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তির এই ‘e-Sim’ ব্যবস্থা কানেকশন সক্রিয় হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক দ্রুত কার্যকরী হবে।
‘e-Sim’ নেওয়ার পদ্ধতি
‘e-Sim’ নেওয়ার জন্য গ্রাহকদের তার টেলিকম সংস্থার নিকটবর্তী স্টোরে যেতে হবে। সেখানে সমস্ত রকম KYC পূরণ করার পর এই সিম পাওয়া যাবে।