নিজস্ব প্রতিবেদন : দীপাবলি এবং দিওয়ালির আগে বাজি পোড়ানো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট সম্পূর্ণভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট সেই নির্দেশ খারিজ করে রাত্রি আটটা থেকে রাত্রি দশটা পর্যন্ত দু’ঘন্টা বাজি পোড়ানোর উপর ছাড়পত্র দেয়। তবে এই বাজি হতে হবে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব অর্থাৎ গ্রীন বাজি (Green crackers)।
কিন্তু এই গ্রীন বাজি নিয়েই বাজারে তৈরি হয়েছে চরম ধোঁয়াশা। গ্রীন বাজি কি? কিভাবে বাজারে মিলবে? এই ধোঁয়াশাতেই জেরবার আমজনতা থেকে পুলিশ প্রশাসন। গ্রীন বাজিতে আসলে বোরিয়াম নাইট্রেট নামক কেমিক্যাল থাকতে পারে না। এই বাজেটে থাকবে সোডিয়াম এবং নাইট্রেট, তাও আবার নির্দিষ্ট পরিমাণে।
গোদা বাংলায় বলা যেতে পারে, এই গ্রীন বাজি এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যাতে কম দূষণকারী পরিবেশবান্ধব বাজি হয়। এই গ্রিন বাজি অন্যান্য সাধারণ বায়ুর তুলনায় অন্ততপক্ষে ৩০% দূষণ কম করে। এই বাজির উৎপত্তি হয়েছে CSIR-NEERI (কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ – ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট)-র গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে।
গ্রীন বাজি চেনার উপায়?
গ্রীন বাজি সেই সকল সংস্থা তৈরি করে বাজারে সরবরাহ করে থাকে যারা সরকারিভাবে অনুমতিপ্রাপ্ত। গ্রীন বাজি চেনার পরিপ্রেক্ষিতে জানা যাচ্ছে, বাজির প্যাকেটে লেখা থাকবে ‘গ্রিন ক্র্যাকার’ কিংবা ‘ফায়ারওয়ার্কস’। এছাড়াও প্যাকেটের গায়ে থাকবে একটি কিউআর কোড। যেটি স্ক্যান করে যাচাই করে নেওয়া যেতে পারে আদৌ এই বাজি বাজি কিনা এবং সেটির দূষণের মাত্রা কতটা।
তবে এই গ্রীন বাজি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বাজারে কতটা উপলব্ধ রয়েছে তা নিয়ে যেমন সাধারণ মানুষদের মধ্যে ধোঁয়াশা ঠিক একইভাবে ধোঁয়াশা রয়েছে প্রশাসনের মধ্যেও। কারণ এই নিয়ে আদালত নির্দেশ দিলেও এখনো পর্যন্ত কোনগুলি গ্রীন বাজির আওতায় পড়বে তা নিয়ে কোনো নির্দেশিকা এসে পৌঁছায়নি পুলিশের কাছে। এমনকি সাধারণ ক্রেতা থেকে বিক্রেতাও এই গ্রীন বাজি সম্পর্কে অতটা ওয়াকিবহাল নন।