নিজস্ব প্রতিবেদন : গত শনিবার আচমকা মুখ্যমন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দিয়ে সকলকে চমকে দেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী। তার ইস্তফা দেওয়ার পর গুজরাটের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উঠে আসে চারজনের নাম। তবে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করার থেকেও বেশি চমক হয়ে ওঠে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা হতেই।
গুজরাটের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তিনি হলেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল। এখনো পর্যন্ত তিনি প্রথমবার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এবং একবারই বিধায়ক হয়েছেন। যে কারণে তাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বিজেপির নাম ঘোষণা করা বড় চমক হিসেবেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে রাজভবনে গুজরাটের প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী হাজির হোন। প্রথমে রাজভবনে তার উপস্থিতিকে সাংবিধানিক আলোচনা হিসাবে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু বিজয় রূপাণী রাজভবন থেকে বেরিয়ে সকলকে চমকে দিয়ে জানান, মুখ্যমন্ত্রীত্ব থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন।
বিজয় রূপাণীর ইস্তফা দেওয়ার পর নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যাদের নাম উঠে আসছিল তারা হলেন নীতিন পটেল, মনসুখ মাণ্ডব্য, আরসি ফালদু, পুরুষোত্তম রুপালা। তবে এই সকল ব্যক্তিত্বকে পিছনে ফেলে রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে উঠে আসেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল। নতুন মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের দায়িত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী।
কিন্তু প্রশ্ন হল এই ভূপেন্দ্র প্যাটেল কে?
নতুন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন গুজরাটের ঘাটলোধিয়া আসন থেকে। এই ভোটে তিনি কংগ্রেসের প্রার্থী শশীকান্ত প্যাটেলকে লক্ষাধিক ভোটে পরাজিত করেন।
বিধায়ক হওয়ার পর ভূপেন্দ্র সিং দীর্ঘদিন ধরে আমেদাবাদ নগরোন্নয়ন দপ্তরের চেয়ারম্যান ছিলেন। পাশাপাশি তিনি দায়িত্ব সামলেছেন আমেদাবাদ পৌরসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হিসেবেও। তাকে প্যাটেল সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসাবে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। কারণ গুজরাতে বিজেপির ভোটের অধিকাংশ-ই হলো প্যাটেল সম্প্রদায়ের।
ভূপেন্দ্র প্যাটেল ২০১৭ সালে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সময় যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন সেই হলফনামা থেকে জানা যাচ্ছে তাঁর স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৫ কোটি টাকারও বেশি। এছাড়াও তার রয়েছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ডিগ্রী।