নিজস্ব প্রতিবেদন : গুজরাটের লার্সেন অ্যান্ড টুব্রোর হাজিরার প্লান্টে তৈরি হওয়া অস্ত্রের নাম কে-৯ বজ্র ট্যাঙ্ক। এই অস্ত্রের ফলে ভারতীয় সেনা আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এই অস্ত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি শুনলে আপনি অবাক হয়ে যাবে। কে-৯ বজ্র বিশ্বের একটি ট্যাঙ্ক। এই ট্যাঙ্ক শত্রুকে খুঁজে বার করে শেষ করে দেয়।
এই বজ্র প্রযুক্তি আর ঘাতক ক্ষমতানুযায়ী কতটা শক্তিশালী?
প্রযুক্তি আর ঘাতক ক্ষমতা অনুযায়ী বিচার করতে গেলে এই ট্যাঙ্কটি বফর্স কামানের থেকেও অনেকগুণ বেশি শক্তিশালী।
ব্রফসের থেকে এই বজ্রকে শক্তিশালী বলা হচ্ছে কেন?
বফর্স থেকে গোলা ছুঁড়তে গেলে একটা সময় লাগে। এই কে-৯ বজ্র সেই কাজটি নিমেষের মধ্যেই করে দেয়। বফর্স কামানের থেকে অনেক আগেই এই কাজ হয়ে যায়।
সর্বাধিক কত দূরে থাকা লক্ষ্য বস্তুকে এই বজ্র আঘাত করতে সক্ষম?
৩৮ কিলোমিটার দূরে থাকা শত্রুকেও খুঁজে বার করে নিকেষ করতে পারে এই বজ্র।
কোন পরিস্থিতিতে এই বজ্রের নিখুঁত প্রয়োগ সম্ভব?
যেকোনো পরিস্থিতিতেই এই বজ্রের প্রয়োগ সম্ভব। বরফাবৃত ভূমি হোক অথবা মরুভূমি কিংবা জঙ্গল যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশেই কাজ করার ক্ষমতা রাখে এই বজ্র।
এটির ওজন ও উচ্চতা কত?
এটির ওজন ৪৭ টন। এটির উচ্চতা ৯ ফুটের কাছাকাছি ও দৈর্ঘ্য হল ৪০ ফুট।
এই বজ্র কত রাউন্ড গোলা কত সময়ের অনুপাতে নিক্ষেপ করে?
কে-৯ বজ্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই লক্ষ্য বস্তুর দিকে তিন রাউন্ড গোলা ছুঁড়তে সক্ষম। অর্থাৎ তিন মিনিটে হয় ১৮ রাউন্ড গোলা! এতটাই শক্তিশালী এই বজ্রের ক্ষমতা।
কত সালে এই বজ্র প্রস্তুতের বরাদ দেওয়া হয়েছিল?
২০১৭ সালে এই ট্যাঙ্ক তৈরীর বরাত পেয়েছিল গুজরাটের ওই সংস্থা। এরপর দক্ষিণ কোরিয়ার টেক উইন সংস্থার সাথে মিলিত হয়ে যৌথভাবে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ব্র্যান্ডের অধীনে তৈরি করা হয় এই ট্যাঙ্কটি।১০০টি ট্যাঙ্ক বানানোর বরাত পেয়েছিল ওই সংস্থা, যার মধ্যে ১০ টি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আনা হয় এবং বাকি ৯০টি ট্যাঙ্ক ওই সংস্থা তৈরি করবে।
এটি মোট কত টাকার প্রোজেক্ট?
এই প্রজেক্টটি প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার প্রোজেক্ট।
এই কামানটি কীভাবে নিয়ে যাওয়া যাবে?
কপ্টারে ও এই কামানটি যুদ্ধ স্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
Three M777 Ultra Light Howitzers, ten K9 Vajra tracked self propelled guns and field artillery tractors were inducted into the Indian Army https://t.co/AhBtpcyFcJ
— ANI (@ANI) November 9, 2018
প্রসঙ্গত, এই ট্যাঙ্ককে ‘সেলফ প্রপেলড হোভারক্রাফ্ট গান’ ও বলা হয়। ১৫৫ মিলিমিটার/৫২ ট্র্যাকড সেলফ প্রপেলড এই ট্যাঙ্কটি দক্ষিণ কোরিয়ার কে -৯ থান্ডারের আদলে তৈরি করা। এর প্রয়োগ যে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।